শেয়ার বিজ ডেস্ক: কম বিনিয়োগ ও লোকবল সংকটের পাশাপাশি বছরের পর বছর ধরে অবহেলার কারণে ভুগছে গ্রিসের রেল খাত। এ কারণে ধর্মঘট পালন করছেন দেশটির রেলকর্মীরা। এছাড়া রেলসেবা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন দেশটির হাজারো নাগরিক। খবর: বিবিসি।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গ্রিসে এক ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫৭ জন নিহত হন। এতে দেশটির ভঙ্গুর রেল নেটওয়ার্ক নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। দেশটিতে এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ট্রেন-দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটিতে প্রায় সাড়ে ৩০০ যাত্রীর বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই লাইনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। প্রচণ্ড সংঘর্ষে যাত্রীবাহী ট্রেনটির প্রথম চারটি বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে প্রথম দুই বগি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।
এর এক সপ্তাহ পর গণ-অসন্তোষের বৃহত্তম প্রকাশ দেখল দেশটি। ক্ষুব্ধ হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন। এদিকে রেলকর্মীরা ধর্মঘট শুরু করেন। তারা জানিয়েছেন, বছরের পর বছর ধরে অবহেলা, কম বিনিয়োগ ও লোকবল সংকটের কারণে গ্রিসের রেল পরিষেবা ধুঁকছে। পুরো ঘটনাকে প্রায় এক দশক ধরে চলা গ্রিসের ঋণ-সংকটের প্রতিফলন বলে মত বিশ্লেষকদের। তবে ২০১৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এবারই তারা সবচেয়ে বড় প্রতিবাদের মুখোমুখি হলো।
পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, গ্রিসের বিভিন্ন শহরে গত বুধবারের এসব মিছিলে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন। এ বিক্ষোভে পরিবহন শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরাও অংশ নিয়েছেন। শুধু রাজধানী এথেন্সে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ মিছিলে যোগ দেন। নগরীর কেন্দ্রস্থলে পার্লামেন্ট ভবনের দিকে যেতে যেতে তারা ‘খুনি!’, ‘খুনি!” এবং ‘আমরা সবাই একই বগিতে’ বলে সেøাগান দেন। পরে দাঙ্গা পুলিশ পার্লামেন্ট ভবনের সামনে মিছিলে বাধা দিলে প্রতিবাদকারীদের একটি অংশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
