মো. ইকবাল হোসেন: মধুমাসে বাহারি জাতের আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজসহ নানা ধরনের সুস্বাদু ফলের সমাহার থাকে। ফলগুলো যেমন মিষ্টি, তেমন পুষ্টিকর। ভরপুর সব ধরনের ভিটামিন আর খনিজে।
আম: ফলের রাজা আম কোলন এবং স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। আম আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি ইত্যাদির ভালো উৎস। আমে থাকা পটাশিয়াম হƒদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
কাঁঠাল: জাতীয় ফল কাঁঠালে শর্করা থাকে ২০ থেকে ২৪ শতাংশ। প্রোটিন ও ফ্যাট খুবই কম। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও হƒদযন্ত্র ভালো রাখে। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন চোখ ভালো রাখে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী করে। রক্তাল্পতায় রোগীদের জন্য কাঁঠাল খুবই উপকারী। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে। বাচ্চাদের শারীরিক গঠনে কাঁঠাল গুরুত্বপূর্ণ।
লিচু: রক্তে শ্বেতকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী করে। শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করে। কোষে অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে। হাড়ের যতেœ সহায়ক। ত্বকে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে রক্ষা করে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও লিচু বেশ উপকারী।
জ্যৈষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল