ক্রীড়া ডেস্ক: ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশনে বৈষম্যমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। পরে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছাড়া পান এ অলরাউন্ডার।
রোববার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলেও কয়েকদিন আগেই এ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন যুবরাজ সিং।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, গত বছর ইনস্টাগ্রামে একটি নাচের ভিডিও পোস্ট করেন যুজবেন্দ্র চাহাল। একই বছর ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মার সঙ্গে একটি ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশনে আসেন যুবরাজ। লাইভ আড্ডায় তিনি বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছিলেন। ফলে তখনই তাকে গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে।
ভারতীয় এসসিএসটি আইনের ৩(১)(ইউ) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ এবং ১৫৩বি ধারায় তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। হরিয়ানার হিসার জেলার হান্সী শহরের রজত কালসান নামে এক ব্যক্তি এই অভিযোগ করেন।
তার ভিত্তিতেই রোববার গ্রেপ্তার হন যুবরাজ। পরে অন্তর্বর্তী জামিনও পেয়ে যান। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তার বিরুদ্ধে যে এফআইআর করা হয়েছে, সেটিও তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
তবে চহালের বিরুদ্ধে ওই মন্তব্য করার পরেই যুবরাজ টুইটারে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
যুবরাজ বলেছিলেন, আমি কখনও কোনো জাতি, বর্ণ, ধর্ম অথবা লিঙ্গের বৈষম্যে বিশ্বাস করিনি। সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি মানুষকে মর্যাদা দেওয়ায় বিশ্বাস করি। মানুষ একে অপরকে নিঃস্বার্থভাবে সম্মান করুক, এটাই চেয়ে এসেছি। বন্ধুদের কথা বলার সময় আমার একটি কথার অন্য অর্থ করা হয়েছে, যেটা অনভিপ্রেত। ভারতের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমি যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত করে থাকি, তার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি ভারতকে ভালবাসি আর ভারতবাসী সব সময় আমার অন্তরে থাকে।
হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, তাকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছাড়া পান যুবরাজ।