নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বেইলি রোডে ‘গ্রিন কোজি কটেজে’ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কতজন রেস্তোরাঁ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় করা মামলায় শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন মাসুদ রেজা সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
মাসুদ রেজা সোবহান বলেন, ‘বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৮০০ রেস্তোরাঁ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
জীবিকার টানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এই নিরীহ শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করাকে বে-আইনি ঘোষণার আদেশ চেয়ে তিনি রিট করেছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘আগামী এক মাসের মধ্যে পুলিশের আইজিকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার রেস্তোরাঁ শ্রমিকদের তালিকা দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না; তা জানাতে রুল জারি করেছেন আদালত।’
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জন প্রাণ হারান। ওই ভবন থেকে ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় গত ১ মার্চ পুলিশ মামলা করার পর চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন চা-কফির দোকান চুমুক রেস্তোরাঁর দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন, কাচ্চি ভাইয়ের বেইলি রোড শাখার ব্যবস্থাপক জয়নুদ্দিন জিসান ও গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ব্যবস্থাপক মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল।
তবে পুলিশ যে মামলা করেছে তাতে শফিকুর রহমান রিমন ও জয়নুদ্দিন জিসানের নাম নেই।
মামলায় আসামি হিসেবে নাম থাকা আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের স্বত্বাধিকারী (নাম দেয়া হয়নি) এবং কাচ্চি ভাইয়ের মালিক সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।