নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্লাস অ্যাম্পুল উৎপাদনের জন্য একটি প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ফার্মা এইডস। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির বিদ্যমান উৎপাদন সক্ষমতার তুলনায় গ্লাস অ্যাম্পুলের চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে একটি প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে গ্লাস অ্যাম্পুল উৎপাদনের চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুসারে আগামী ১ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চলবে। সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি ১৯৮৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। পাঁচ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন তিন কোটি ১২ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৩১ লাখ ২০ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ২৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬০ দশমিক ৭২ শতাংশ শেয়ার।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীর জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ কোটি ৩ লাখ টাকা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ১৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯৮ টাকা ৮৩ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীর জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১৬ টাকা ১১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ৯৩ টাকা ২৬ পয়সা। এছাড়া ওই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ১০ টাকা ৭ পয়সা।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) ফার্মা এইডসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ টাকা ৩১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ১৫ টাকা ২৬ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৬৩ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৩ টাকা ৪৪ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৫২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৫ টাকা ৩৭ পয়সা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৭০ দশমিক ৯৮ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১১ হাজার ৮৬০ দশমিক ৫০। এদিকে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তীত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৭৯০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৫০টি শেয়ার মোট ২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ৭৯০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৯৭৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।