শেয়ার বিজ ডেস্ক: নারী নেতৃত্বে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ‘গ্লোবাল সামিট অন উইমেন’ শীর্ষ সম্মেলনে গতকাল শুক্রবার তার হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে নারী অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সিডনির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলনের সভাপতি আইরিন ন্যাটিভিডাডের হাত থেকে সম্মাননা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি বিশ্বের নারীদের; যারা পরিবর্তনের চেষ্টায় নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে চলেছে।
মিলনায়তনে উপস্থিত নারী অধিকার কর্মী এবং বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীদের সহায়তায় তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে আমাদের নতুন করে জোট বাঁধতে হবে। যার যার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আর মূল্যবোধের জায়গায় থেকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে সেই নারীদের জন্য, যাদের সহায়তা দরকার।
এ সময় ‘নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের ১৪৪টি দেশের মধ্যে এদিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৭তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে ১৫৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। এবার ২০০৯ থেকে পরপর দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় সুষ্ঠু, অধিকারভিত্তিক, লিঙ্গ সংবেদনশীল এবং বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী চারটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। সেগুলো হলো প্রথমত. নারীর সক্ষমতা নিয়ে প্রচলিত যে ধারণা সমাজে রয়েছে, তা ভাঙতে হবে। দ্বিতীয়ত. প্রান্তিক অবস্থানে ঝুঁকির মুখে থাকা সেসব নারীর কাছে পৌঁছাতে হবে, যারা আজও কম খাবার পাচ্ছে, যাদের স্কুলে যাওয়া হচ্ছে না, যারা কম মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছে। কোনো নারী বা কোনো মেয়ে যেন বাদ না পড়ে। তৃতীয়ত. নারীদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে তাদের সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। চতুর্থত. জীবন ও জীবিকার সমস্ত ক্ষেত্রে নারীদের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নারী শিক্ষার উন্নয়ন এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগে ভূমিকার জন্য শেখ হাসিনাকে এবার এই পুরস্কার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘গ্লোবাল সামিট অব উইমেন’। শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগে নৈশভোজের পর তার জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র দেখানো হয় সম্মেলনে। ছোট বোন শেখ রেহানাও এ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন।
গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রধানমন্ত্রী
