কৈশোর একটি জটিল সময়। এ সময়ে গড়ে ওঠে কিশোর-কিশোরীদের ব্যক্তিসত্তা। এ সত্তার আকুতি দেখা দেয় তাদের মধ্যে। নানা ভাব প্রকাশের মাধ্যমে তা বোঝা যায়।
এ সময়ে তাদের মনে প্রায়ই কয়েকটি প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে, আশেপাশের মানুষ কি আমাকে পছন্দ করে? আমার সম্পর্কে তাদের ধারণা কেমন? আমার সম্পর্কে তারা কী আলোচনা করে? আমি কি দেখতে সুন্দর? অনেকে এও ভাবে যে, আমি কে?
অনেকে দেহ নিয়ে নানা গোলকধাঁধার মধ্যে থাকে। তাদের মনে প্রশ্ন জাগে, আমার দেহের গড়ন কি ভালো? আমি কি শক্তিশালী? অনেকে দেহের চেয়ে ব্যক্তিত্বকে প্রাধান্য দেয়Ñআমার ব্য?ক্তিত্ব কি আকর্ষণীয়? আমি কি স্মার্ট?
অনেকের মধ্যে বাস্তবাবাদিতার লক্ষণ দেখা যায়। তারা ভাবে, আমার জীবনের লক্ষ্য? বা উদ্দেশ্য? কী হওয়া উচিত? আমি কি টাকা-পয়সার ওপর বড্ড বেশি নির্ভরশীল? কাকে কাকে আমার বিশ্বাস করা উচিত? শেষঅবধি আমার কোন কোন বিষয় টিকবে? আমি কী হতে চাই? আমি কি আমার বাবা-মায়ের মতো?
বাবা-মা যা চায় তা কি আমি হতে পারব? আমার পরিবারের কি কোনো মর্যাদা বা ঐতিহ্য আছে?
একটু আত্মমর্যাদাসম্পন্ন শিশুরা ভাবে, আমাকে কেউ বা কারা সর্বক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে? আমার কোন কোন বিষয় মজবুত আর কোনগুলোতে আমি দুর্বল? কোন বিষয়গুলো পাল্টে ফেলা উচিত?
অনেক প্রশ্নের মধ্যে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো এখানে। অসংখ্য প্রশ্ন ভিড় করে কৈশোরে তাদের মধ্যে। কেউ কেউ দীর্ঘ সময় নিয়ে একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়ায়। কেউ কেউ এত চিন্তা-ভাবনা করে না। তবে মনস্তত্ত্ববিদরা বলেছেন, সফল আত্মপরিচয় গঠনের জন্য এ আকুতির প্রয়োজন রয়েছে। একই সঙ্গে সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়ানোও ঠিক নয়।

Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 3:25 am
গড়ে ওঠা ব্যক্তিসত্তার আকুতি
স্বাস্থ্য ♦ প্রকাশ: