নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজধানীর মিরপুর থানার রূপনগরে চারজনের মৃত্যুতে বিদ্যুৎ বিভাগ দুঃখ প্রকাশ করেছে। গতকাল শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ তথ্য জানায়। এতে আরও জানানো হয়, ভালোভাবে অনুসন্ধান করেও ঘটনাস্থলে বা এর আশপাশে বিদ্যুতের কোনো ছেঁড়া তার পাননি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় টানা বৃষ্টি। বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় ঢাকার প্রায় বেশিরভাগ সড়ক। এর মধ্যে রাতে রাজধানীর কমার্স কলেজের পেছনে বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন জনসহ চারজন নিহত হন। বৃষ্টির পানিতে হেঁটে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজন নিহত হন।
এ ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কাছ থেকে মিরপুরের হাজী রোড এলাকায় দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রূপনগর বিওবি (ডেসকো) বিভাগের আওতাধীন রূপালী হাউজিং ও রূপনগর ফিডার বন্ধ করে দেয়। বৃষ্টির মধ্যেই দ্রুত পরিদর্শন টিম পাঠালে দেখা যায়, ওই এলাকার রাস্তা পানিতে ডুবে আছে। পরিদর্শন টিম পুরো এলাকা পরিদর্শন করে কোনো এলটি/এইচটি লাইন ছেঁড়া বা ছেঁড়া বিদ্যুতের তার পায়নি। পরে রাত ১১টা ২৭ মিনিটে বন্ধ ফিডার লাইন চালু করা হয়।
ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় আশপাশ এলাকার ছয়টি ট্রান্সফরমার বন্ধ রেখে রাত ১১টা ২৭ মিনিটে রূপালী হাউজিং ও রূপনগর ফিডার চালু করা হয়। পরবর্তী সময় প্রতিটি ট্রান্সফরমারের লাইন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চেক করে কোনো সমস্যা পাওয়া না যাওয়ায় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ সব ট্রান্সফরমার চালু করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগ আরও বলছে, গ্রাহকের ইন্টারনাল সার্ভিসের ওয়ারিং ত্রুটির কারণে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এরকম দুর্ঘটনা বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। তদন্ত করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
কিছু সতর্কতার কথাও উল্লেখ করে বিদ্যুৎ বিভাগ। তারা জানায়, কোনো অবস্থায়ই খোলা বিদ্যুতের তার বা ভেজা তার বা ভেজা তারে লাগানো জিনিসপত্র স্পর্শ করা যাবে না। যেকোনো প্রয়োজনে বিদ্যুৎ সেবা পেতে ১৬৯৯৯-এ গ্রাহকরা ফোন করতে পারেন।