মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারে খাত বদল করে বিনিয়োগ করতে দেখা যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের। করোনার শুরুতে বাজারে একচেটিয়া দীর্ঘদিন আধিপত্য বিস্তার করতে দেখা যায় বিমা এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতকে। এরপর এ দুটি খাত থেকে সরে এসে বিবিধ খাতের দিকে নজর পড়ে বিনিয়োগকারীদের। পরবর্তীকালে বস্ত্র খাতের দিকে ঝোঁকেন তারা। এখন বস্ত্র খাতের শেয়ারদর সংশোধন শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বাড়তে দেখা যাচ্ছে ব্যাংক খাতের শেয়ারদর। গতকালের বাজারেও এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গতকাল সকাল থেকে চালকের আসনে ছিল ব্যাংক খাত। এদিন সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল ব্যাংক খাতের শেয়ারের দিকে। প্রতিটি ব্যাংক কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা ছিল বেশি। এর জের ধরে দিন শেষে এ খাতে তালিকাভুক্ত শতভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়।
এদিকে গতকাল মোট লেনদেনেও সবার শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক আধিপত্য দেখা যায় প্রায় ১৮ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। গতকাল এ খাতের শেয়ারে সবচেয়ে বেশি বিক্রয় চাপ দেখা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দর কমে খাতটিতে তালিকাভুক্ত সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ১৭ শতাংশ। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে দেখা যায় আর্থিক খাতকে। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অংশগ্রহণ চোখে পড়ে ১৫ শতাংশের বেশি।
অন্যদিকে গতকালও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়। দিন শেষে ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে সূচকের অবস্থান হয় ছয় হাজার ৭৮৭ পয়েন্ট। ডিএসইতে লেনদেন হয় সন্তোষজনক। গতকাল এখানে মোট দুই হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
এর মধ্য ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ১০৩ কোটি টাকার বেশি। মার্কেটটিতে গতকাল মোট ৪৭টি কোম্পানি অংশ নেয়। কোম্পানিগুলোর তিন কোটি ৪১ লাখ ৮৪ হাজার ২০২টি শেয়ার ৮৫ বার হাতবদলের মাধ্যমে ১০৩ কোটি আট লাখ ৭৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এসব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ কোটি ৪৯ হাজার টাকা পূবালী ব্যাংকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের।