মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারে ঘনঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বিনিয়োগ করতে দেখা যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের। খাত বদল করে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি তারা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন দেখে বিনিয়োগ করছেন। তারা কখনও বেশি পরিশোধিত মূলধনধারী কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছেন, আবার কখনও কম পরিশোধিত মূলধনধারী কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। গতকালের বাজারেও এমন চিত্র দেখা গেছে।
গতকালের বাজার পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের নজর ছিল তুলনামূলকভাবে কম পরিশোধিত মূলধন রয়েছে এমন কোম্পানিতে। গতকাল দিন শেষে এ ধরনের কোম্পানিতে আস্থা রাখতে দেখা গেছে ৯০ শতাংশ বিনিয়োগকারীকে। অথচ এর আগের কার্যদিবসে ৩০ থেকে ৫০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে, এ ধরনের কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা যায়।
এদিকে গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়তে দেখা গেছে ৬৬ পয়েন্ট, শতাংশের হিসাবে যা প্রায় এক শতাংশের কাছাকাছি। দিন শেষে সূচকের অবস্থান হয়েছে ছয় হাজার ৯৮১ পয়েন্ট।
এদিকে গতকালের খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, এদিনও সবার শীর্ষে ছিল বিমা খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ১৮ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। খাতটি মোট লেনদেনে ১৩ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয়। এ ছাড়া গতকালের লেনদেনে আর্থিক, ব্যাংক, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন খাত উল্লেখযোগ্যহারে অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
অন্যদিকে গতকাল দর বৃদ্ধির দৌড়ে এগিয়ে ছিল ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) ফেরত কোম্পানি তমিজউদ্দীন টেক্সাইল। একইভাবে দর বাড়ে অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল, হাক্কানী পাল্প, ইমাম বাটন, দেশ বন্ধু পলিমার, তাল্লু স্পিনিংসহ আরও কিছু কোম্পানির। এর মধ্য কিছু কোম্পানির বিক্রেতা সংকট দেখা গেছে।
এদিকে গতকালও সন্তোষজনক লেনদেন হতে দেখা গেছে। গতকাল মোট দুই হাজার ৩৬০ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর মধ্যে ৬২ কোটি টাকা ছিল ব্লক মার্কেটের লেনদেন। গতকাল এ মার্কেটে মোট ৪৭টির কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়।