Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 3:32 am

ঘরের কাজে কমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি

 

কাজের চাপ, ব্যস্ততা ও ক্লান্তি যে কাউকেই কাবু করে ফেলতে পারে। এসব কারণে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধতে পারে। অন্যান্য রোগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও।

সমাধান হিসেবে চিকিৎসকরা নিয়মিত শরীরচর্চার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে শরীরচর্চায় একঘেয়েমি চলে এলে বিকল্প হিসেবে ঘরের কাজকে হাতিয়ার করে নিতে পারেন। এমন পরামর্শ দিয়েছেন খোদ বিশেষজ্ঞরাই। তারা বলছেন, ঘরের কাজ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। সম্প্রতি সার্কুলেশন মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় পাওয়া গেছে এমন তথ্য। এখানে বলা হয়েছেÑ‘নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করা, বিছানা গোছগাছ করা, কাপড় ধোয়া, বাজার করার মতো কাজও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে পারে।’

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কার্ডিওলজিস্ট ড্যানিয়েল ফোরম্যান বলেন, বিষণœতা, চাপ, ক্লান্তির সমাধান খুঁজতে যখন বয়স্ক রোগীরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন, তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওষুধ দিয়ে তাদের বিদায় করা হয়। কিন্তু ওষুধের পরিবর্তে যদি চিকিৎসকরা ঘরের কাজ করা, হাঁটার পরামর্শ দিতেন, তবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে রোগী মুক্ত থাকতে পারতো। এ কাজগুলো নিয়মিত না করায় বাধ্য হয়ে ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে মানুষ। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে বৈ কমছে না।

এসব কাজের পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক হতে বাঁচার জন্য দরকার সতর্কতা। কিছু ক্ষতিকর বিষয় পরিহার, নিয়মিত শরীরচর্চা ও ঘরের কাজে অভ্যস্ততা হার্ট অ্যাটাক থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে। জেনে নিন, কি কি পরিহার করবেন ও যোগ করবেন দৈনন্দিন জীবনে।

ধূমপান ছাড়ুন

হার্ট সুরক্ষায় ধূমপান বর্জনীয়। যদি সম্ভব হয় ধূমপায়ীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। এর বাইরে তামাক, জর্দা প্রভৃতিও ছাড়তে হবে।

পরিমিত খাবার গ্রহণ

পরিমিত আহার করুন। কোলেস্টেরল ও চর্বিযুক্ত খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে পারলে ভালো। এর সঙ্গে গরুর মাংস, কলিজা, মগজ প্রভৃতি কম খাওয়া উচিত।

লবণ কম খাবেন

অতিরিক্ত লবণ হার্টে সমস্যা তৈরি করে। তাই কাঁচা লবণ কম খাওয়ার অভ্যাস করুন। একই সঙ্গে তরকারিতে পরিমিত পরিমাণে লবণ ব্যবহার করুন।

নিয়মিত ব্যায়াম

নিয়ম করে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় হাঁটতে পারেন। সম্ভব হলে হালকা দৌড়, ব্যয়াম, সিঁড়ি বেয়ে চলাচল করতে পারেন। এসব ব্যায়াম আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। একই সঙ্গে কায়িক শ্রম ও ঘরের কাজগুলোও আপনাকে ফুরফুরে মেজাজে রাখবে।

মানসিক ও শারীরিক চাপমুক্ত থাকুন

শরীর ও মনকে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম শরীরের জন্য উপকারী। এর মাধ্যমে মানসিক ও শারীরিক চাপমুক্ত থাকা যায়। এছাড়া চাপ এড়াতে পছন্দের কাজগুলো করতে পারেন।