Print Date & Time : 30 June 2025 Monday 1:55 pm

ঘরোয়া লিগে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক কি যথেষ্ট?

ক্রীড়া ডেস্ক:ক্রিকেটাররা যে ১১ দফা দাবি তুলেছেন, তার মধ্যে ঘরোয়া লিগের পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারটি বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছে। তবে গত পরশু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা।

জাতীয় লিগে প্রথম স্তরের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ৩৫ হাজার টাকা। দ্বিতীয় স্তরে ২৫ হাজার টাকা। তুমুল সমালোচনার পর সেটি বাড়িয়ে যথাক্রমে ৪০ ও ৩০ হাজার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন বিসিবিপ্রধান।

এদিকে আরেকটি প্রথম শ্রেণির লিগ বিসিএলে এতদিন ম্যাচ ফি ৪০ হাজার টাকা ছিল। সমালোচনার পর সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। তারপরও কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়: ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক একটি টুর্নামেন্টের ম্যাচ ফি এত কম কেন।

জাতীয় লিগে একজন ক্রিকেটার খেলতে পারেন সর্বোচ্চ ৬ ম্যাচ। ঘরোয়া ক্রিকেটের শীর্ষ ক্রিকেটারদের বাইরে বড় অংশের একজন ক্রিকেটার সব ম্যাচ খেলতেও পারেন না। উল্লেখ্য, আয় থেকে আবার ২০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয় ক্রিকেটারদের। যে কারণে প্রথম ও প্রধান প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টে চারদিনের ম্যাচের জন্য এই পারিশ্রমিক যথেষ্ট অপ্রতুল বলেই মনে করেন ক্রিকেটাররা। তাদের দাবি, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ ফি এক লাখ টাকা করার।

ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনটি গ্রেডে চুক্তিতে রাখা হয় ক্রিকেটারদের। ‘এ’ গ্রেডের মাসিক বেতন ২৮ হাজার ৭৫০ টাকা, ‘বি’ গ্রেডে ২৩ হাজার টাকা ও ‘সি’ গ্রেডে ১৭ হাজার ২৫০ টাকা। এদিকে জাতীয় লিগে ক্রিকেটারদের দৈনিক ভাতা ১৫০০ টাকা। ভ্রমণ ভাতা কেবল দুই হাজার ৫০০ টাকা।

একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার টেকে ১০-১৫ বছর। এর মধ্যে বেশিরভাগ সময় তাকে ঘরোয়া ক্রিকেটের ওপরই তাকিয়ে থাকতে হয়। যে কারণে আয়ের দিকটাও সেখান থেকেই ভাবতে হয় তাদের। কিন্তু বিসিবি যে অর্থ তাদের দিচ্ছে, তাতে খুশি নয় কেউ। এজন্যই এবারের ধর্মঘটে বেশিরভাগ দাবিই ঘরোয়া লিগে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকবিষয়ক।