Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 2:24 am

ঘরোয়া সভার বিষয়ে জানাতে হবে পুলিশকে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল পথসভা বা ঘরোয়া সভা ব্যতীত অন্য কোনো সভা করতে পারবে না। এই ঘরোয়া ও পথসভা করলেও পুলিশকে ২৪ ঘণ্টা আগে জানাতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, বিষয়টি প্রার্থীদের অবহিত করতে সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান পথসভা ও ঘরোয়া সভা ব্যতীত কোনো জনসভা বা শোভাযাত্রা করতে পারবেন না। পথসভা ও ঘরোয়া সভা করতে চাইলে প্রস্তাবিত সভার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে তার স্থান এবং সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে, যাতে ওই স্থানে চলাচল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

এছাড়া জনগণের চলাচলের বিঘœ সৃষ্টি করতে পারে, এমন কোনো সড়কে পথসভা বা কোনো মঞ্চ তৈরি করা যাবে না। প্রতিপক্ষের পথসভা বা ঘরোয়া সভা বা অন্যান্য প্রচারাভিযান পণ্ড বা তাতে বাধা প্রদান বা কোনো গোলযোগ সৃষ্টি করা যাবে না।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, বর্তমানে গাজীপুর সিটি ভোটের আপিল কার্যক্রম চলছে। আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে। প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। অর্থাৎ এ সিটি প্রচার চালানো যাবে ৯ মে থেকে।

খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের শেষ সময় ২১ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে ও ভোট ১২ জুন। এই দুই সিটি নির্বাচনে ২৬ মে থেকে প্রচার চালানো যাবে।

আর রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২৮ মে। আর আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৩১ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন, প্রতীক বরাদ্দ ২ জুন ও ভোট ২১ জুন।  এই দুই সিটি ভোটে প্রচার চালানো যাবে ২ জুন থেকে।

নির্বাচনী আচরণ বিধি না মানলে জেল, জরিমানা, এমনকি প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। এরই মধ্যে গাজীপুর সিটি ভোটের প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।