Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 12:57 am

ঘুরে আসুন মাওয়া রিসোর্ট

ঢাকার খুব কাছে বেড়ানোর জায়গা কিংবা অবকাশ যাপনের জন্য মুন্সীগঞ্জের পদ্মার পারে মাওয়া রিসোর্ট হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। এটি প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভরপুর নিরাপদ আর নির্জন অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। রিসোর্টটি দেখলেই মনে হবে ছিমছাম ঘর এবং পাশে আছে পদ্মা নদী। রাজধানী থেকে ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণে বিক্রমপুরের লৌহজং উপজেলার এক নম্বর ফেরিঘাট থেকে দক্ষিণে মাওয়া-ভাগ্যকুল রাস্তার কান্দিপাড়া গ্রামে ৩০ বিঘার ওপর নির্মিত এ রিসোর্ট। বিশালায়তনের পুকুর আর গাছগাছালি ঘেরা। যেন প্রকৃতির সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি অন্যরকম আয়োজন। নদীতে সাঁতার কাটা, নৌকায় ভ্রমণ, ভেসে বেড়ানোÑএসব আয়োজনই আছে এ রিসোর্টে। নির্জন পরিবেশ ও সবুজে ঘেরা চতুর্দিক যেন পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়। প্রধান ফটকে ঢুকতে নজরে পড়ে বিশাল এক দিঘির। দিঘির চারপাশে সারি সারি নারকেল ও সুপারি গাছ পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে তার সৌন্দর্য দেখতে। দিঘিতে রয়েছে দুটি বাঁধানো ঘাট। দিঘিতে শিশুদের জন্য জলকেলির সুযোগ রয়েছে এবং এছাড়া ঘুরে বেড়াতে পারবেন বোটেও। দিঘির পাড়েই ক্যাফেটেরিয়া, যেখানে সব ধরনের খাবার রয়েছে।

এখানে কটেজসংখ্যা ১৮টি। পাঁচটি সিঙ্গেল, চারটি ডাবল ও একটি সু্যুট রয়েছে। কটেজে যাওয়ার সময় লাল, সাদা ও সবুজ রংয়ের কাঠের সেতুগুলো যেন পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রাতের নির্জন গ্রামের রাশি রাশি জোনাকির আলোয় রংবেরংয়ের বৈদ্যুতিক বাতিগুলো অসহায় মনে হয়। এখানে রয়েছে করপোরেট পিকনিক ও মিটিং, বিয়ের অভ্যর্থনা, জš§দিনের পার্টি, সম্মেলন, প্রেস কনফারেন্স, অ্যাকাডেমিক আলোচনা সভা, স্বাক্ষর অনুষ্ঠান, পণ্যের প্রচার প্রভৃতি ব্যবস্থা ও ছবির শুটিংয়ের জন্য একটি আকর্ষণীয় কেন্দ্র। এছাড়া কম খরচে রাত যাপনের জন্য রয়েছে সুব্যবস্থা।

কটেজগুলো ইটের তৈরি হলেও গ্রামের স্বাদ দিতে গোলপাতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ছাদ। বাঁশের চটা দিয়ে নানা আলপনা দিয়ে তৈরি করা সিলিং পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়। ভেতরে আধুনিক আসবাবপত্র আর মেঝেতে টাইলস দেখে মনে হয় এ যেন ফাইভস্টার হোটেল। পুরো পরিবেশটাই নান্দনিক। প্রতিদিন এখানে বেড়াতে আসেন শত শত মানুষ। ছুটির দিনে নানা পেশার মানুষ ছুটে আসেন। যারা কটেজে রাতে ও দিনে থাকতে চান তাদের আগেই বুকিং দিয়ে কনফার্ম করে আসতে হয়।

খরচ: রিসোর্ট এমনি ঘুরতে গেলে প্রবেশমূল্য ৪০ টাকা। দিনের বেলা সকাল ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত রুম নিয়ে থাকতে চাইলে নন-এসি তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। এসি চার হাজার আর স্যুট কটেজ ১২ হাজার টাকা।

কীভাবে যাবেন: বাস সার্ভিস কিংবা নিজেদের গাড়িতে করে যেতে পারেন। নিজেদের গাড়িতে করে গেলে সময় লাগবে দেড় ঘণ্টার মতো। গাড়ি রাখার

সুব্যবস্থা রয়েছে। গুলিস্তান থেকে গাংচিল কিংবা ইলিশ পরিবহন ও মিরপুর ১০, ফার্মগেট, শাহবাগ থেকে স্বাধীন পরিবহনে যেতে পারেন। এছাড়া গুলিস্তান থেকে বিআরটিসি, প্রচেষ্টা, গ্রেট বিক্রমপুর পরিবহন, কিংবা যাত্রাবাড়ী থেকে গোধূলি পরিবহনে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাওয়া ফেরিঘাট যাওয়ার আগেই চৌরাস্তার মোড়ে নামতে হবে। পরে রিকশা অথবা অটোরিকশাতে ১৫ মিনিটের পথ।

 

শিপন আহমেদ