Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 10:47 pm

ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না জুন ক্লোজিংয়ের কোম্পানিগুলো

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল ব্যাংক ও আর্থিক খাত ছাড়া অধিকাংশ খাতই দরপতনের কবলে পড়ে। জুন ক্লোজিংয়ের কোম্পানি বিশেষ করে বস্ত্র, প্রকৌশল, ওষুধ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর দর এক দিন বাড়লেই পরের দু-তিন দিন পতনে থাকে। কোনোভাবেই গতিশীল হতে পারছে না এসব কোম্পানি। অথচ প্রতিদিন ২০ থেকে ৪৫টি পর্যন্ত কোম্পানির পর্ষদ সভার ঘোষণা আসছে। আসছে লভ্যাংশের ঘোষণা। তা সত্তে¡ও ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না কোম্পানিগুলো। এর প্রধান কারণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এসব খাতে ফিরেও তাকাচ্ছে না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ব্যাংক ও আর্থিক খাত। যার কারণে অন্যান্য খাতের দরপতন হলেই চাঙা হয় ব্যাংক ও আর্থিক খাত। গতকাল এমনই চিত্র ছিল ঢাকার পুঁজিবাজারে। এদিন ব্যাংক খাতে প্রায় ৬৭ শতাংশ ও আর্থিক খাতে ৬৯ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। এছাড়া বিমা খাতে ৪৮ শতাংশ ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৪০ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। বাকি সব খাতে বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন হয়। বস্ত্র খাতে মাত্র ১৪ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ২০ শতাংশ, ওষুধ খাতে ২১ শতাংশ ও জ্বালানি খাতে ৩৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। অথচ এসব খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়ে গেছে। তা সত্তে¡ও ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না খাতগুলো।

গতকাল ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ১৬৩ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ২৭ শতাংশ। আগের দিনের থেকে ব্যাংক খাতে লেনদেনে বেড়েছে দুই শতাংশ বা সাড়ে ৩৫ কোটি টাকা। গতকাল দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় চারটি ছিল ব্যাংক। এর মধ্যে ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার ঘোষণায় রূপালী ব্যাংকের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর্থিক খাতে লেনদেন হয় ১০৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশ। গতকাল এ খাতে লেনদেন বেড়েছে সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা। প্রকৌশল খাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বা ১৭ শতাংশ লেনদেন হলেও এ খাতের শেয়ার বিক্রির প্রবণতা বেশি ছিল। ২৬ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার পর এ খাতের ইফাদ অটোসের দর ২২ শতাংশের বেশি কমেছে। এ কোম্পানিটির প্রায় ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা এ খাতের মোট লেনদেনের ৪৮ শতাংশ। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় মাত্র ৯ শতাংশ, ওষুধ খাতে ৭ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে পাঁচ শতাংশ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চার শতাংশ।

গতকাল লেনদেনে নেতৃত্ব দেয় ইফাদ অটোস। এরপর প্রায় ৩৩ কোটি টাকা লেনদেন হয় লংকাবাংলার, আইডিএলসি ২৫ কোটি, আমরা নেট ১৮ কোটি, ব্র্যাক ব্যাংক সাড়ে ১৫ কোটি, বিবিএস  কেব্লস ১৪ কোটি, সিটি ব্যাংক ১২ কোটি, বিডি ফাইন্যান্স, ট্রাস্ট ব্যাংক ও শাহ্জালাল ব্যাংকের ১১ কোটি টাকার বেশি করে লেনদেন হয়।