ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে আলুর উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে দেশে টানা দু’দিন বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টিতে দেশের মুন্সীগঞ্জে রোপণ করা বেশিরভাগ আলুর জমি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কৃষি অধিদপ্তরের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, সর্বোচ্চ আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সীগঞ্জে ১৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমির মধ্যে ১২ হাজার ৭৬২ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া নরসিংদী, মানিকগঞ্জসহ কয়েকটি জেলা মিলিয়ে মোট ১৩ হাজার ৮৭৭ হেক্টর জমির আলুর উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জে অনেকের জমিতে অপরিণত আলুর বীজ পচে গেছে। এই অবস্থায় কিছু কিছু কৃষক অপরিণত কিছু আলু তুলে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। যেসব কৃষক বৃষ্টির সপ্তাহখানেক থেকে বৃষ্টির এক দু’দিন আগেও আলু লাগিয়েছিল তাদের আলু বীজ অবস্থাতেই নষ্ট হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, অনেক কৃষকের হয়তো সবটুকু জমির আলুই নষ্ট হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে এটি উৎপাদনে বড় প্রভাব ফেলবে না।

তিনি বলেন, তবে যাদের বীজ নষ্ট হয়েছে তাদের বীজের একটা সংকট হতে পারে। এ কারণে হয়তো কিছু জমি আলু চাষাবাদের বাইরে থাকতে পারে। তবে এখনও কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এ বছর ৪ লাখ ৬২ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় এক কোটি ১৬ লাখ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল এক কোটি ৪ লাখ টন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আলুর বাইরেও গম, ভুট্টা, সবজি, পেঁয়াজ, ডাল ফসলসহ আমনের অল্প কিছু পাকা ধান ও বোরোর বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। দেশের মোট ১৫টি জেলায় এসব কৃষি পণ্য উৎপাদন ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতির দিক থেকে আলর পরেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে সরিষার জমি।

সার্বিকভাবে সব মিলে ৪৮ হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিতে পড়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০