নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চীন থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের উপকরণ ঘোষণায় বন্ড সুবিধায় আনা সিগারেটের একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। চালনটিতে ১৮ মেট্রিক টন পোশাক শিল্পের উপকরণ আসার কথা থাকলেও প্রকৃত পক্ষে এক কন্টেইনার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট আমদানি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) কায়িক পরীক্ষা শেষে চালানটি আটক করা হয়। কাস্টমস গোয়েন্দার মহাপরিচালক মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সাভারের ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড) এর প্রতিষ্ঠান হপ-ইক (বাংলাদেশ) লিমিটেড। পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানটি হংকং এর হপ-লান (হংকং) লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং বন্ড লাইসেন্সপ্রাপ্ত। প্রতিষ্ঠানটি চীন থেকে পোশাক শিল্পের উপকরণ (গার্মেন্টস এক্সেসরিজ) ঘোষণায় সাড়ে ১৮ মেট্রিক টন পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি পণ্য খালাসের জন্য ৩ নভেম্বর চট্টগ্রামের দক্ষিণ আগ্রাবাদের আবিদার পাড়ার চান্দু ম্যানশনের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চান্দু করপোরেশনের মাধ্যমে কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি (নম্বর সি-২০০৪৮২) দাখিল করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পণ্য চালানটি সিস্টেমে লক করা এবং খালাস স্থগিত করা হয়। আজ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এতে একটি কন্টেইনার ঘোষণা বর্হিভূত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। সিগারেটের মূল্য ও রাজস্ব ফাঁকির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে।

তিনি আরও জানান, বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের সবচেয়ে বড় খাত হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামালগুলো শুল্কমুক্তভাবে দ্রুত খালাস দেওয়া হয়। এ সুযোগের অপব্যবহার করে পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণায় নিয়ে আসে সিগারেট। বন্ডেড প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা বর্হিভূত সিগারেট আমদানির মাধ্যমে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করেছে।
কাস্টমস গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক নুর নাহার লিলি বলেন, এই আমদানিকারক বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের পাশাপাশি আইপি জালিয়াতিও করছে। তবে কাস্টমস গোয়েন্দা মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা চালানটি আটক করতে সক্ষম হয়েছি। শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় আটক সিগারেটের পরিমাণ ও মূল্য নির্ণয় করা হয়নি। ফলে কি পরিমান রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে সেটাও বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া এবং জড়িতদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
###