আইসিডি কমলাপুর কাস্টম হাউস

ঘোষণা ৭১০০ কেজি, কায়িক পরীক্ষায় পাওয়া গেল ১৮৭০৩ কেজি

## আমদানিকারক জুঁই এন্টারপ্রাইজকে ২৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড

## সিএন্ডএফ এর সহযোগিতায় প্রথম কায়িক পরীক্ষায় জালিয়াতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমদানিকারকের ঘোষণা ছিল ৭ হাজার ১০০ কেজি ‘ফ্রন্ড অ্যান্ড ব্যাক ক্যাবিনেট উইথ এক্সেসরিজ’। সিএন্ডএফ এর জালিয়াতিতে প্রথম কায়িক পরীক্ষায় ২৯০ কেজি পণ্য বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু দ্বিতীয়বার কায়িক পরীক্ষায় ৭ হাজার ১০০ কেজির স্থলে পাওয়া যায় ১৮ হাজার ৭০৩ কেজি। অর্থাৎ ঘোষণার চেয়ে ১১ হাজার ৬০৩ কেজি পণ্য বেশি পাওয়া যায়।

রাজধানীর আইডিসি কমলাপুর কাস্টম হাউসে সিএন্ডএফ এজেন্ট রোজ ভ্যালী ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় এমন জালিয়াতি করেছে রাজধানীর ওয়াইজঘাট এলাকার জুঁই এন্টারপ্রাইজ নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় আইসিডি কমলাপুর কাস্টম কমিশনার মোবারা খানম প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড ও পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি এ আদেশ দেওয়া হয়।

আইসিডি কাস্টম হাউস সূত্র জানায়, আমদানিকারক জুঁই এন্টারপ্রাইজ ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি ‘ফ্রন্ড অ্যান্ড ব্যাক ক্যাবিনেট উইথ এক্সেসরিজ’ পণ্য আমদানি করে। পণ্য খালাসের জন্য সিএন্ডএফ এজেন্ট রোজ ভ্যালী ইন্টারন্যাশনাল এর মাধ্যমে ৯ জুন বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। সিএন্ডএফ এর প্রতিনিধি ছোটন বড়ুয়ার সহযোগিতায় কাস্টমস প্রথমে পণ্যটি কায়িক পরীক্ষা প্রতিবেদন দেয়। যাতে ঘোষণার চেয়ে ২৯০ কেজি পণ্য বেশি রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সে অনুযায়ী ১৮ জুন পণ্য চালানটি শুল্কায়ন করা হলেও আমদানিকারক শুল্ককর পরিশোধ করে চালানটি খালাস নেয়নি।

নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তীতে কাস্টম হাউস পণ্যটি নিলাম করার জন্য ইনভেন্ট্রি করে। আমদানিকারকের ঘোষণা ছিল ৭ হাজার ১০০ কেজি পণ্য। ইনভেন্ট্রিতে ১৮ হাজার ৭০৩ দশমিক ৯০ কেজি পণ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ ঘোষণার চেয়ে ১১ হাজার ৬০৩ দশমিক ৯০ কেজি বেশি পণ্য পাওয়া যায়। যাতে ১১ লাখ ৫০ হাজার ৩৫১ টাকার শুল্ককর ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে। পণ্য ১০ দিনের মধ্যে খালাস নিতে ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আমদানিকারককে চিঠি দেয় কাস্টম হাউস। কিন্তু আমদানিকারক বা সিএন্ডএফ এজেন্ট এতে সাড়া দেয়নি।

পরে ১৫ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। জবাব দিতে ১০ দিনের সময় দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠান জবাব দেয়নি। আমদানিকারক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘোষণা ও শুল্ককর ফাঁকির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই কাস্টমস আইন অনুযায়ী পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। একইসঙ্গে আমদানিকারককে ২৩ লাখ ৮০০ হাজার অর্থদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা বিমোচন জরিমানা করা হয়।

###

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০