Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 4:10 am

ঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ পাঠিয়েছে গ্রামীণফোন

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৩০ জুন ২০২৪ সমাপ্ত প্রথমার্ধের জন্য ঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ পাঠিয়েছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। ঘোষিত লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে গ্রামীণফোন লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় কমেছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) জন্য অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন ১৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষিত এই লভ্যাংশের জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছিল গত ১৩ আগস্ট ২০২৪।

এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৩৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ টাকা ৮৪ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ২ টাকা ৪৬ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ১৬ টাকা ২৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ১৪ টাকা ৬২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে এক টাকা ৬৭ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ১৮ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৪৯ টাকা ৩৯ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৮ টাকা ৭ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২০ টাকা ১৫ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির মোট মুনাফার ৫১ দশমিক ০৩ শতাংশ। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ টাকা ৪৯ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৩৯ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৪ টাকা ৮৮ পয়সা।

গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ বা ৬ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৪৯ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৪২ টাকা ৮০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৩৫৩ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১৭ লাখ ১৭ হাজার ৫২৬টি শেয়ার মোট ৮ হাজার ২৪৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। অন্যদিকে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর ২২১ টাকা থেকে ৩৮৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪ হাজার ৫১০ কোটি ১ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১৩৫ কোটি তিন লাখ ২২টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ২ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার।