চট্টগ্রামকে বিশ্বে মডেল রূপে গড়তে চাই

আ জ ম নাছির উদ্দিন,চসিক মেয়র: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। একাধারে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহ-সভাপতি। পাশাপাশি বার্থ অপারেটিং, সোয়েটার কারখানা, আবাসন, ফিশিং ব্যবসা, তেল পরিবহন ব্যবসাও রয়েছে তার। সম্প্রতি শেয়ার বিজের আলাপচারিতায় চট্টগ্রামকে ঘিরে জানান তার নানা পরিকল্পনার কথা…

 

আ জ ম নাসির উদ্দিন:

চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বেশি নজর দিচ্ছি। পাশাপাশি প্রযুক্তির বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামকে মডেল রূপে দাঁড় করাতে চাই। তাছাড়া বন্দরের সক্ষমতা বাড়িয়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মাইলফলক গড়তে চাই।

একাধারে ক্রীড়ানুরাগী, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে একটি ডিজিটাল শহর হিসেবে গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য ও স্বপ্ন। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নিজে চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। গত সাত বছরে চট্টগ্রামের উন্নয়নই এর প্রমাণ। ভবিষ্যতে আরও অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

এলএমজি টার্মিনাল হচ্ছে, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে, কর্ণফুলীতে ট্যানেল নির্মাণ করা হবে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো রাজস্বভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করবে। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামের এই উন্নয়ন এ অঞ্চলের মানুষের  কর্মসংস্থানসহ সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। চট্টগ্রামকে সত্যিকার অর্থে একটি বাণিজ্যিক রাজধানী রূপে গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি।

 

নদী বাঁচাতে কাজ করবে জেলা প্রশাসন

সামসুল আরেফিন

জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম

 

নদী বাঁচলেই বাঁচবে মানুষ—এ ব্রত নিয়ে নদী রক্ষায় কাজ করছেন সদ্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণকারী সামসুল আরেফিন। মাদারীপুরের লালবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণকারী এ কর্মকর্তা ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন। শেয়ার বিজের  সঙ্গে আলাপকালে জানান নদী রক্ষায় বিশেষ নজর দেবেন। এছাড়া ভোগ্যপণ্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণ, ভেজাল রোধে কড়া মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন তিনি। তাছাড়া চসিক মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে বন্দর, শিল্প-বাণিজ্যের সুরক্ষায় কাজ করবেন বলে জানান।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমার বিশ্বাস চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দেশের অন্যতম এ খরস্রোতা নদীটি রক্ষা করতে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সময়। তা না-হলে নদীটির অবস্থা একসময় বুড়িগঙ্গার মতো হবে। এজন্য ইতোমধ্যে নদীর দুই তীর দখলমুক্ত ও নদীদূষণ এড়ানোর ব্যবস্থা নিতে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা তাদের কাজ শুরু করেছে।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। সব নাগরিক রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চললে, নিজেদের সম্পদের ক্ষতি না করলেই হলো। আমার বিশ্বাস বর্তমান মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করলে চট্টগ্রাম ভবিষ্যতে বিশ্বের কাছে মডেল হয়ে থাকবে।’

 

শিল্প এলাকার সুরক্ষায় পুলিশি বিটের পয়েন্ট বাড়বে

ইকবাল বাহার

কমিশনার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ

 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিশারিজে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে ১৯৮৯ সালে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্য হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যাঙ্গোলায়। কর্মজীবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৪ সালে অর্জন করেন প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম)। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার। অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে শেয়ার বিজকে  জানালেন কিছু কথা।

তিনি জানান, শিল্প-বাণিজ্যনির্ভর এ জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তার কোনো ধরনের অবহেলা নেই। চট্টগ্রামবাসীর সুরক্ষায় তিনি তার অধীন সব থানা এলাকায় কমিউনিটি পুলিশ রেখেছেন। এছাড়া বিট পুলিশিং কার্যক্রমও বাড়াচ্ছেন। ফলে অপরাধ কমার পাশাপাশি জনগণের আস্থাও বাড়ছে।

এর আগে দায়িত্বে ছিলেন বান্দরবান, যশোর ও ঢাকায়। ডিআইজি হিসেবেও ছিলেন পুলিশ হেডকোয়ার্টারে, রংপুর রেঞ্জ, রাজশাহী রেঞ্জেও কাজ করেছেন তিনি।

শিল্প এলাকাগুলোর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় সেখানকার বিটগুলোতে দক্ষ পুলিশকে কাজ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ওইসব অঞ্চলে পুলিশি পয়েন্ট বাড়ানো হবে। এখন চট্টগ্রামবাসীর আস্থা অর্জনই তার একমাত্র লক্ষ্য।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০