নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম নগরীর ৩৫টি খাল খনন ও সম্প্রসারণ করলেও ২১টি খাল বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়। সিএস খতিয়ানে এগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও এখানে বহুতল ভবনসহ নানা ধরনের স্থাপনা রয়েছে। দখলকৃত এসব খাল চিহ্নিত করে পুনরুদ্ধার করা হবে। গতকাল নগরীর পুরোনো নগর ভবন মিলনায়তনে চসিকের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ১১তম সাধারণ সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের কাজে গতিশীলতা চাই। শুকনো মৌসুমে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ফেলতে হবে। ছোট-বড় নালা-নর্দমা ও খাল থেকে আবর্জনা, মাটি ও পলিথিন সরিয়ে ফেলা হবে। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে খালগুলো যেখানে বাঁধ বা দেয়াল আছে, সেগুলো সিডিএ’র সঙ্গে সমন্বয় করে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সিডিএ’র মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা করতে হবে; যাতে প্রাণঘাতী কোনো বিপর্যয় না ঘটে।
তিনি জানান, চসিক মশা নিধন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও আলোকায়নকে অগ্রাধিকার দেয়। মশক নিধনে আলাদা ফোর্স করা হবে। এদের আলাদা পোশাক হবে। মশক নিধনে যে ওষুধ ছিটানো হয় তার কার্যকারিতা যাচাই করা হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় নগরীকে ৬টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো অবহেলা ও অবজ্ঞা গ্রাহ্য হবে না। দায়িত্ব পালনে কেউ ব্যর্থ হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আলোকায়নের ক্ষেত্রে কোনো অবহেলা বরদাশত করা হবে না।
মেয়র রাজস্ব আয়ের পরিধি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শুধু গৃহকরের মধ্যেই রাজস্ব আয়ের পরিধি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। অনেকেই ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করছে তাদের লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে যে ২৬টি খাত রয়েছে সেই খাতগুলোর আয় নিশ্চিত করতে হবে। এ খাতগুলো থেকে কর আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো ঢিলামি চলবে না।
চসিক প্রধান নির্বাহী শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেনÑপ্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।