সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম:কোরবানি ঈদের আগে হঠাৎ কাঁচামরিচের দাম এক হাজার টাকা হয়। এরপর ভারত থেকে আমদানি শুরু হলেও এখন ৩২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। অন্যদিকে এক মাসের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জ পাইকারিতে ভারতীয় আমদানি করা শুকনা মরিচের দাম ৫০ টাকা কমে প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা ৩৫০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। অর্থাৎ কাঁচামরিচ ও শুকনা মরিচের দামের পার্থক্য নেই।
খাতুনগঞ্জ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খাতুনগঞ্জ এলাকার বড় বড় মোকামে গতকাল পাইকারিতে ভারতীয় শুকনা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩৪০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায়, যা এক মাস আগে প্রতিকেজি দাম ছিল ৩৯০-৪০০ টাকা। আর ছয় মাস আগে ছিল ৪৬০-৪৮০ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় শুকনা মরিচের দাম কমেছে। তারা বলেন, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি বেড়েছে। এদিকে আমদানি বাড়ায় দেশীয় বাজারে শুকনা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। অপরদিকে বিভিন্ন খুচরা দোকানগুলোয় শুকনা মরিচ কেজিপ্রতি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চকবাজার এলাকার মুদি দোকানি মানস দাশ বলেন, বাজারের দাম থাকায় প্রতিকেজি শুকনা মরিচ বিক্রি করছি ৫০০ টাকায়, যদিও পাইকারিতে দাম কিছুটা কমেছে শুনেছি।
অপরদিকে চকবাজারসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। চকবাজার কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ রফিক বলেন, প্রতিকেজি কাঁচামরিচ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। দুদিন আগে ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি।
এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন শেয়ার বিজকে বলেন, কাঁচা মরিচের তুলনায় শুকনা মরিচের দাম কম। এক মাস আগে শুকনা মরিচের দাম ছিল ৪০০ টাকা, যা এখন ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ছয় মাস আগে ছিল ৪৮০ টাকা। অনেক আমদানিকারক বেশি দামে আমদানি করে লোকসান করছে।
অপরদিকে ভোমরা বন্দরে মসলাপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাফ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবুল হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠান আগের চেয়েও বেশি পরিমাণে শুকনা মরিচ আমদানি করে। আমাদের সপ্তাহে ৩০-৩৫ ট্রাক শুকনা মরিচ আমদানি হলেও এখন একটু আমদানি কমছে, কারণ বাজারের সরবরাহ বেশি। আমাদের আমদানি করা এসব মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে।
