৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনসহ সাতজনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাড়তি দামে যন্ত্রপাতি কিনে মোট ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীসহ সাতজনকে আসামি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের চট্টগ্রামের এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক মামলা করেন বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এমআরআই’র যন্ত্রের বাজারমূল্য দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা হলেও সেটা কিনতে তারা ব্যয় দেখিয়েছেন ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চারটি কালার ডপলারের বাজারমূল্য এক কোটি আট লাখ ৮০ হাজার টাকা হলেও ব্যয় দেখানো হয়েছে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা।

প্রণব কুমার বলেন, ২০১৪ সালের ২৯ মে থেকে ২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এভাবে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সরবরাহের নামে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট  চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরফরাজ ও তিন চিকিৎসকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেনÑচট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী, হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আবদুর রব, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ।

অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন এবং এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দুদকের মুখপাত্র জানান।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০