বাংলাদেশ ফার্নিচার-শিল্প মালিক সমিতির আয়োজনে চট্টগ্রামে বসেছিল ছয় দিনব্যাপী ১১তম ফার্নিচার মেলা। বন্দরনগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এ মেলা শেষ হয় ১৭ ডিসেম্বর। মেলায় ৩১ প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল।
এ উপলক্ষে ফার্নিচারের ওপর বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। ঘর কিংবা অফিস সাজানোর প্রায় সব ধরনের আসবাবের বৈচিত্র্যময় সম্ভার চোখে পড়ে মেলায়। তাই ক্রেতারা এক ছাদের নিচে বাহারি নকশার ফার্নিচার থেকে পছন্দের পণ্য বাছাইয়ের সুযোগ পান। ক্রেতাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়। এবারের মেলায় ফার্নিচারের নকশা ও গুণগত মান ভালো হওয়ায় দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড় ছিল। ক্রেতার আগ্রহে ছিল নান্দনিক ও শৈল্পিক নকশার সোফা, ডিভান, ওয়্যারড্রোব, ডাইনিং টেবিল, টিভি কেবিনেট, কর্নার টেবিল প্রভৃতি। ফার্নিচার-শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ এএসএম নুর উদ্দিন বলেন, এ ধরনের মেলা আয়োজনের ফলে ফার্নিচার প্রস্তুতকারক ও বিপণনকারী সব প্রতিষ্ঠানকে এক ছাদের নিচে পাওয়া যায়। শুধু পণ্য বিক্রির জন্য এ মেলার আয়োজন করা হয়নি, বরং ফার্নিচার-শিল্পের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে এ আয়োজন। তাছাড়া এ মেলার মাধ্যমে দেশীয় আসবাবের গুণগত মান ও নকশা দেশি-বিদেশি ক্রেতার সামনে উপস্থাপন করা যায়।
তিনি আরও বলেন, দেশীয় ফার্নিচার এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে রফতানিও হচ্ছে। রফতানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বন্ড সুবিধা দেওয়া হলে এ খাতের রফতানি আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।
মেলা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন মো. মাকসুদুর রহমান। উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।