Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 3:09 pm

চট্টগ্রামে বিলাসবহুল দুইটি গাড়ি আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে কার্নেট ডি পাসেজ সুবিধার অপব্যবহার করা একটি এবং শুল্ককর ফাঁকি দেয়া অপর একটি বিলাসবহুল গাড়ি আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গতকাল কাস্টমস গোয়েন্দার চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা পৃথক অভিযানে দুইটি গাড়ি আটক করে। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু হানিফ মোহাম্মদ আবদুল আহাদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

আবু হানিফ মোহাম্মদ আবদুল আহাদ শেয়ার বিজকে বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের দাইয়াপাড়া ও খুলশী এলাকায় পৃথক অভিযানে এ দুইটি বিলাসবহুল গাড়ি আটক করা হয়েছে। আগ্রাবাদের দাইয়াপাড়াস্থ বার্মা হাজীর বাড়িতে কার্নেট ডি পাসেজ সুবিধার শুল্ককর ফাঁকি দেয়া একটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে বলে গোপন সংবাদ পাওয়া যায়। গতকাল দুপুরে প্রথমে সে বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানে গাড়িটি পাওয়া যায়নি। পরে বাড়ির বাসিন্দা শাহেদ মালিককে সাথে নিয়ে হালিশহরের কে ব্লকের একটি অ্যাপার্টমেন্টের নিচ থেকে নিশান এক্সট্রেইল গাড়িটি আটক করা হয়। গাড়ির মূল্য প্রায় চল্লিশ লাখ টাকা।

তিনি আরো জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল তিনটার দিকে খুলশীস্থ একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট এর পার্কিং থেকে একটি কাস্টোমাইজড কার আটক করা হয়। এই গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনুযায়ী যে গাড়িটি থাকার কথা, তার জায়গায় অধিক সিসি সম্পন্ন ও নতুন মডেলের সুভারু ইম্প্রেয়া ডব্লিওআরএক্স গাড়ি পাওয়া যায়। এই গাড়িটির শ্যাসি ও বডি ভিন্নভাবে আমদানি করা হয় এবং শুল্ককর ফাঁকি দেয়া হয়েছে। গাড়ি দুইটির দলিলাদি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। দুটিতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার শুল্ককর ফাঁকি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি আবু হানিফ মোহাম্মদ আবদুল আহাদের নেতৃত্বে আন্দরকিল্লা ইকুইটি সেন্ট্রাল ভবনের পার্কিং থেকে কোটি টাকা মূল্যের শুল্ককর ফাঁকি দেয়া একটি গাড়ি আটক করা হয়। গাড়িটি আট বছর ব্যবহারের পর আটক করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, ২০১২ সালে গাড়িটি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছিল। গাড়িটি চাইনিজ গ্রেট ওয়াল কোম্পানির ‘হাভাল এইচ ৩ ৪ ৪’ হলেও এর রেজিস্ট্রেশন হয়েছে হার্ড জিপ টয়োটা এম কর্প ২০০৭ হিসেবে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, পাঁচ সিলিন্ডারবিশিষ্ট ২৩৫১ সিসির এই গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয় ২০১২ সনে। রেজিস্ট্রেশন নম্বর চট্ট মেট্রো ঘ ১১-০৯০০। গাড়িটির বর্তমান ব্যবহারকারী এম এ মতিন একজন ব্যবসায়ী। গাড়িটি আমদানির ক্ষেত্রে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা পরিমাণ শুল্ককর ফাঁকি সংঘটিত হয়েছে।

###