Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 5:18 pm

চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সমীক্ষায় ১৮ মাস সময় নির্ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া বিশেষ অবদান রাখছে। চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে। ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির প্রাথমিক সমীক্ষা করবে দক্ষিণ কোরিয়ার কোইকা নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হতে সময় লাগবে প্রায় ১৮ মাস।সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ব্যয় অনুদান দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।

গতকাল চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নগর ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হতে ১৮ মাস সময় লাগার বিষয়ে চসিক মেয়রকে অবহিত করেন।

সাক্ষাৎকালে মেয়র বলেন, স্বাধীনতার পর পরই যেসব দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই যুক্ত দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশকে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নেপথ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ অবদান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বদিচ্ছার কারণে চট্টগ্রাম অচিরেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নগরীতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।

তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে উন্নত দেশের কাতারে বাংলাদেশকে উন্নীত হওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে বিনিয়োগ, তথ্য-প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রশিক্ষণ আরও বৃদ্ধি করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

চসিক একটি সেবা প্রতিষ্ঠান, এর মূল কাজ হচ্ছে নগরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এর পাশাপাশি চসিক ৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৬০টি দাতব্য চিকিৎসালয়, ৪টি মাতৃসদন, হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়, হেলথ টেকনোলজি, মিডওয়াইফ ইনস্টিটিউট পরিচালনা করছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রশংসা করে বলেন, চট্টগ্রাম পাহাড়, নদী ও সাগরবেষ্টিত একটি অনন্য নগরী। যেকোনো বিদেশি পর্যটক এর সৌন্দর্য দেখে বিমুগ্ধ হবে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের আওতায় বাংলাদেশের জনগণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে কেইপিজেড প্রতিষ্ঠার অনুমতিপ্রাপ্ত হয় এবং ইয়ংওয়ানের মতো পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এখানে শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করেছে। কেইপিজেডের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হলে অন্য দেশের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আস্থা পাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি জেং ইউল লি, প্রফেসর ইলজন চ্যাং, কোইকার প্রতিনিধি চ্যাউন কিম, জিং বো চুই, মো জেন কং, চট্টগ্রাম কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মি. জিনহুক পাইক।