রাজধানীতে যানজট ক্রমেই বাড়ছে। এ সমস্যা বাড়ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও। এর সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল শেয়ার বিজে ‘চট্টগ্রাম নগর বাহনে যুক্ত হলো ৪০ নতুন বাস’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, নগরীর গণপরিবহনের বেহাল দশা বহু দিনের। নগরে বাড়ছে জনসংখ্যা। বাড়ছে ব্যক্তিগত গাড়িও। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে গণপরিবহন তেমন বাড়ছে না। এজন্য নতুন ৪০টি বাস নামানোর উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ।
রাজধানীর পরই চট্টগ্রামের নাম করতে হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে। এ শহরে যানজট কমাতে ইতোমধ্যে একাধিক উড়ালসেতু করা হয়েছে। উড়ালসেতু বা রাস্তা বাড়ানো এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। যানজট কমাতে শিল্পোন্নত দেশের মডেল ব্যবহার করা যেতে পারে এক্ষেত্রে। বিশেষ করে টোকিও, বেইজিং, হংকং বা কুয়ালালামপুরের মতো শহরে উড়ালসেতুতে তেমন সুফল মিলছে না। এসব দেশে এক থেকে তিনতলা উড়ালসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। উড়ালসেতুতে যানজট না কমায় তারা পরে মেট্রোরেল ও গণপরিবহনে গুরুত্ব দিয়ে অনেকটা সফল। যানজট কমাতে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমাতে হবে। গণপরিবহন বাড়াতে হবে, যাতে সহজে একসঙ্গে বেশিসংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করতে পারে। গণপরিবহনের জন্য আলাদা লেন করার পরামর্শও দেন অনেকে। এসব লেনে কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি যাতে চলতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে বড় আকারের গণপরিবহন বা দোতলা, তিনতলা বাস ব্যবহার সুফল দেয়। বিশেষ লেনে যানজট ছাড়াই দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছালে তখন ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকরাও অনেকে গণপরিবহনে যাতায়াত করবেন। গণপরিবহনের ভাড়া অন্য যে কোনো পরিবহনের চেয়ে কম হয়ে থাকে। এসব পরিবহনে আধুনিক সব সুবিধা পেলে যাত্রীরা তা ব্যবহারে উৎসাহিত হবেন।
যানজট সমস্যা কমাতে ট্রাফিক পুলিশকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। হকারমুক্ত করতে হবে রাস্তা ও ফুটপাত। পথচারীদের হাঁটার সুযোগ করে দিতে হবে, যাতে স্বল্প দূরত্বের পথ হেঁটেই যেতে পারেন। পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে চট্টগ্রামের রয়েছে পরিচিতি। এটা গড়ে উঠুক আধুনিক শহরের মতো; ঢাকার মতো যেন সমস্যায় জর্জরিত না হয়। যানজট কমাতে গণপরিবহন বাড়াতে সংশ্লিষ্টরা পদক্ষেপ নেবেন এটাই প্রত্যাশা।
Add Comment