Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 5:36 pm

চট্টগ্রামে শীর্ষ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ডেল্টা এলপিজি

সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: দেশের প্রধানতম বাণিজ্যিক শহর চট্টগ্রামে বিদায়ী ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা ১২০টি প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য নিবন্ধন করেন। এসব প্রকল্পের বিপরীতে বিনিয়োগ নিবন্ধনের পরিমাণ ছিল চার হাজার ৩৯৯ কোটি ৯৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রæপ সীকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডেল্টা এলপিজি এক হাজার ৮৮১ কোটি বিনিয়োগ নিবন্ধন করে। প্রতিষ্ঠানটি গত বছরের স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মধ্যে শীর্ষ বেসরকারি বিনিয়োগকারী কোম্পানিতে পরিণত হয়।   

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সূত্রমতে, সদ্যবিদায়ী বছরে চট্টগ্রাম অঞ্চলে শিল্প, বাণিজ্য ও ট্রেডিং ব্যবসায় বিনিয়োগ করার জন্য বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ, শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ নিবন্ধনের পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য ১২০টি প্রকল্পের বিনিয়োগ নিবন্ধন করা হয়। এসব প্রকল্পের বিপরীতে সম্ভাব্য বিনিয়োগের পরিমাণ চার হাজার ৩৯৯ কোটি ৯৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

এর মধ্যে শীর্ষ বিনিয়োগ নিবন্ধন করে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হকের মালিকানাধীন ডেল্টা এলপিজি লিমিটেড। চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রæপ সীকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডেল্টা এলপিজি এলপিজি খাতে এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। এর ফলে গত বছরের স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মধ্যে এটি শীর্ষ বেসরকারি বিনিয়োগকারী কোম্পানিতে পরিণত হয়। একই বছরের দ্বিতীয় শীর্ষ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ছিল এলপিজি খাতের আরেক প্রতিষ্ঠান পদ্মা এলপিজি লিমিটেড। ব্যবসায়ী শামীম চৌধুরী এলপিজি টার্মিনাল ও গ্যাস ফিলিং খাতে ৪৯৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ নিবন্ধন নেন। একই ব্যক্তি আবার সিলিন্ডার উৎপাদনে বিনিয়োগ নিবন্ধন নেন ৪২ কোটি টাকার।

এরপর বিনিয়োগ নিবন্ধনে তৃতীয় অবস্থানে ছিল চট্টগ্রামভিত্তিক টিকে গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালামের মালিকানাধীন সামুদা ফুড প্রাডাক্টস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ফ্লাওয়ার মিল ও ডাল মিল স্থাপনে ৪৭৮ কোটি বিনিয়োগ নিবন্ধন নেয়।

আর একই বছরের বিনিয়োগে চতুর্থ অবস্থানে ছিল চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মনজুর আলমের পারিবারিক মালিকানাধীন মোস্তফা হাকিম গ্রæপের নতুন সহযোগী প্রতিষ্ঠান এইচএম স্টিল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি রি-রোলিং মিল স্থাপনে ৪৫৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ নিবন্ধন করে। আর প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় আছেন সাবেক মেয়র ও তার ছেলে নিজামুল আলম।      

এ বিষয়ে মোস্তফা হাকিম গ্রæপের সারোয়ার আলম পরিচালক শেয়ার বিজকে বলেন, ইস্পাত খাতে বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় আমরা আরেকটি নতুন রি-রোলিং মিল স্থাপনের কাজ করছি। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি চলতি বছরের শেষের দিকে উৎপাদনে আসতে পারব। এরপর আমাদের গোল্ডেন ইস্পাতের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা আছে। এক্ষেত্রে আমাদের একাধিক শিপইয়ার্ড থেকে স্ক্রাবের প্রাপ্তির সুবিধা আছে।  

উল্লেখ্য, গত বছরের দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের যৌথ বিনিয়োগ ৯টি প্রকল্পের বিপরীতে বিনিয়োগ নিবন্ধন ছিল ৭০৮ কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এতে কর্মসংস্থান হবে ৭০১ জনের। একই সময়ে (২০১৯) শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগ চারটি বাণিজ্যিক প্রকল্পের বিপরীতে বিনিয়োগ নিবন্ধন নেওয়া হয় ২১ কোটি ৯৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে ৯৮৯ জনের।