নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘মেগা প্রকল্প’ বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) গতকাল রোববার নগরের মহেশখালের ওপর গড়ে ওঠা ৮১টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সংস্থাটির
স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী এ অভিযান পরিচালনা করেন।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) গতকাল নগরের মহেশখালের ওপর গড়ে ওঠা ৮১টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে ১৪টি পাকা, ১৮টি সেমিপাকা, টিনশেড ৩২টি, কাঁচাঘর ১১টি এবং বাউন্ডারি ওয়াল ছিল ছয়টি। এ অভিযান নিয়ে সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন বলেন, গতকাল সকাল থেকে নগরীর মহেশখালের ওপর গড়ে ওঠা প্রায় ৮১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে। যদিও ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে।
চট্টগ্রামে ৮১ স্থাপনা উচ্ছেদ
