নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: আগামী ৯-১০ জানুয়ারি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রামের অধিক্ষেত্রাধীন বিভিন্ন মার্কেটে ভ্যাট কর্মকর্তা এবং দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধির সমন্বয়ে ১০টি ‘ভ্যাট বুথ’ এবং উন্মুক্ত স্থানে ৫টি ‘ভ্যাট স্ট্যান্ড’ স্থাপনের মাধ্যমে করদাতাদের ভ্যাট সংশ্লিষ্ট সব ধরনের সেবা দেয়া হবে। ‘ভ্যাট বুথ’-এর পাশাপাশি ইএফডিকে জনপ্রিয় করা, অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন ও ভ্যাট রিটার্ন দাখিলসহ ভ্যাট সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘ভ্যাট স্ট্যান্ড’ চট্টগ্রাম ভ্যাটের একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ। গতকাল চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রথম এ দপ্তরের অধিক্ষেত্রাধীন ৫টি জনবহুল স্থানে ভ্যাট স্ট্যান্ড স্থাপন করা হবে। সেগুলো হলোÑমুক্ত মঞ্চ (শিশু পার্কের বিপরীতে, আউটার স্টেডিয়াম মাঠ, কাজীর দেউরী), সিইপিজেডের প্রবেশ মুখের বাম পাশে খালি জায়গা, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট আগ্রাবাদের সম্মুখ প্রাঙ্গণ, জিইসি কনভেনশন সেন্টারের সামনের খোলা মাঠ এবং হোটেল মোটেল জোন, কলাতলী, কক্সবাজার।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে ৭টি শপিংমলে ভ্যাট কর্মকর্তা ও মার্কেট প্রতিনিধির সমন্বয়ে ভ্যাট বুথ স্থাপন করা হবে। সেগুলো হলোÑনিউমার্কেট (বিপণি বিতান), জহুর আহমেদ হকার্স মার্কেট, গোলাম রসুল মার্কেট, টেরীবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার, সানমার ওশান সিটি ও চিটাগং শপিং কমপ্লেক্স। পর্যটন শহর কক্সবাজারের আমিরাবাদ, বড়বাজার এবং লোহাগাড়ায়ও ভ্যাট বুথ স্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে চান্দগাঁও, পটিয়া, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবন বিভাগের ক্ষেত্রে বিভাগীয় ভ্যাট দপ্তরের হেল্প ডেস্ক থেকে এসব সেবা প্রদান করা হবে। ভ্যাট বুথ ও ভ্যাট স্ট্যান্ডগুলোর কার্যক্রম বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন করদাতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ২০২২ সালের শুরুতেই ভ্যাট সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও করদাতাদের সেবা প্রদান সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘ভ্যাট বুথ’-এর পাশাপাশি ‘ভ্যাট স্ট্যান্ড’ স্থাপন করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের নিকটস্থ ভ্যাট বুথ ও ভ্যাট স্ট্যান্ডে এসে নিবন্ধন গ্রহণ, রিটার্ন দাখিল ও অন্যান্য সেবা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি চট্টগ্রামবাসীকে যেকোনো কেনাকাটায় মূসক চালান বুঝে নেয়ার অনুরোধ করেন। যেসব দোকানে ইএফডি মেশিন বসানো হয়েছে, সেসব দোকান থেকে পণ্য ক্রয়ের সময় মূসক চালান সংগ্রহ করলে একদিকে যেমন সরকারি কোষাগারে মূসক জমা নিশ্চিত হয়, অন্যদিকে ক্রেতাদের লটারিতে পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা থাকে বলে জানান তিনি।