নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে শুরু হলো ৩০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (সিআইটিএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চট্টগ্রামের রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমএ লতিফ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে এ সময় চেম্বার পরিচালক ও সিআইটিএফ-২০২৩ কমিটির চেয়ারম্যান এ. কে. এম. আক্তার হোসেন এবং সিআইটিএফ কমিটির কো-চেয়ারম্যান, চেম্বার পরিচালক, সাবেক সভাপতিমণ্ডলী ও পরিচালক, অনারারি কনসাল, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন ট্রেডবডি ও ব্যবসায়ী নেতা, অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিসহ নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি ৮০ বিলিয়ন থেকে ৪৭৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে মাথাপিছু আয়ও। এসবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বগুণে। চিটাগং চেম্বারের মতো এত সফলভাবে কোনো ট্রেডবডি মেলা আয়োজন করতে পারেনি। এ মেলার জন্য একটি স্থায়ী ভেন্যুর প্রয়োজন অনস্বীকার্য উল্লেখ করেÑতিনি বে-টার্মিনালের বিপরীতে এই মেলার জন্য একটি স্থায়ী ভেন্যু সহসা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে বলে জানান এবং আগামী বছর থেকে সেখানে সিআইটিএফ আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি চট্টগ্রামের হামিদচরে পার্কিং সুবিধাসহ মেলা আয়োজনের জন্য একটি স্থায়ী কনভেনশন হল স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি পবিত্র রমজানসহ সব ধর্মীয় উৎসবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করতে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন সংস্থাসহ সিটি করপোরেশন ১০ হাজার কোটি টাকার এবং চাক্তাই থেকে বড়াইপাড়া পর্যন্ত এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে খাল খনন করার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর স্থায়ী ও টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে সব শ্রেণির পরামর্শ এবং সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি চট্টগ্রামকে নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব মডেল শহর হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি করে খেলার মাঠ গড়ে তোলার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ২টি ওয়ার্ডে তা বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানান।
বিশেষ অতিথি এম. এ. লতিফ এমপি বলেন, চিটাগং চেম্বার দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যমেলা আয়োজনে তার পরিচ্ছন্ন ইমেজ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে; যার ফলে সারাদেশ থেকে ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ও শিল্পায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়ন বেড়েছে। চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১ লাখ কোটি টাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে, যা দেশের মোট উন্নয়নের ৩৫ শতাংশ। ব্যবসায়ীদের কাজের ধারাবাহিকতা বাধাগ্রস্ত হলে অর্থনীতির উন্নয়ন ব্যাহত হবে উল্লেখ করে তিনি ব্যবসাবান্ধব নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।