সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বহুমাত্রিক বাণিজ্যিক, চিকিৎসা ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও লেনদেন বেশি হয়। যাতায়াত মাধ্যম হলো চট্টগ্রাম ও কলকাতা রুট। অথচ চট্টগ্রাম থেকে কলকাতায় সরাসরি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট নেই। অপরদিকে বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলার দিনের একটি মাত্র ফ্লাইট থাকলেও, তা যাত্রীদের জন্য যথেষ্ট নয়। এতে ব্যবসায়ী পর্যটক ও চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।
জানা যায়, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও লেনদেন বেশি হয়। অথচ চট্টগ্রাম থেকে কলকাতায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট নেই। বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলার দিনের একটি মাত্র ফ্লাইট থাকলেও, তা যাত্রীদের জন্য যথেষ্ট নয়। এ ছাড়া রিজেন্ট এয়ার ২০২০ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ায় এ রুটে ফ্লাইট সংকট দেখা দেয়। আর সাম্প্রতিক সময়ে এয়ার ইন্ডিগো ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। এক্ষেত্রে চট্টগ্রামে আসতে গেলে বা চট্টগ্রাম থেকে ভারতে যেতে হলে ভ্রমণেচ্ছুদের ঢাকা হয়ে যাতায়াত করতে হয়, যা খরচ ও সময় সাপেক্ষ। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চট্টগ্রামে আসতে গেলে অথবা চট্টগ্রাম থেকে ব্যবসায়ী ও চিকিৎসা প্রত্যাশীরা ওই দেশে যেতে হলে ঢাকা হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে; যা সময় ও অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি অনেকটা ভোগান্তির।
বাংলাদেশ বিমানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কলকাতায় সরাসরি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট নেই। তবে ঢাকা থেকে আমাদের একাধিক ফ্লাইট আছে। আমাদের সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় আছে। আগে বেশ কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানি এ রুটে একাধিক ফ্লাইট পরিচালনা করত। ফলে আমাদের ফ্লাইটে তখন যাত্রী কম হতো। বর্তমানে বেশ কয়েকটি বিমান কোম্পানি তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ায় এ অঞ্চলের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিষয়টি আমাদের পরিচালনা পর্ষদের মিটিংয়েও অবহিত করা হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক ব্যবসাসহ চিকিৎসা ও পর্যটনকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের মানুষের যাতায়াত উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী, চিকিৎসা প্রত্যাশী ও পর্যটকের চাহিদার তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল ও টিকিট পাওয়া অত্যন্ত দুঃসাধ্য। ক্রমবর্ধমান যাতায়াতকারীর সংখ্যা ও চাহিদা বিবেচনায় চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা সরাসরি ফ্লাইট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন। তাই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরাসরি ফ্লাইট চালু করার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।