নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: সকাল থেকে রোগী দেখার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে ফিল্ড হাসপাতালটি কার্যক্রম শুরু করে। মাত্র ১৫ দিনের চেষ্টায় নির্মিত হয় দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল। এতে করে চট্টগ্রাম অঞ্চলের করোনো রোগীদের চিকিৎসা দিতে আরও সুযোগ তৈরি হয়েছে। এছাড়া জেনারেল হাসপাতালের দ্রুত সময়ে চালু হবে ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ বেড। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেরজে চালু হচ্ছে করোনা সনাক্তকরণ পরীক্ষা।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এ শহরে ৭০ লাখ নাগরিকের বসবাস। পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহরের আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলাগুলো মিলে আছে প্রায় দুই কোটি মানুষ। গত ২৬ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।

এরমধ্যে পাঁচজন মারা গেছে। বহুমাত্রিক কারণে চট্টগ্রাম করোনা ঝুঁকিতে আছে। প্রতিনিয়ত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। আর করোনা সংক্রামণ রোধে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে আজ সকাল থেকে রোগী দেখার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে ফিল্ড হাসপাতালটি কার্যক্রম শুরু করে। মাত্র ১৫ দিনের নাভানা গ্রুপের সহযোগিতা এবং দানশীল মানুষের চেষ্টায় নির্মিত হয় দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল।
এ হাসপাতালের ৪০টি বেড এবং ভেন্টিলেটর সুবিধা আছে। এতে করে চট্টগ্রাম অঞ্চলের করোনো রোগীদের চিকিৎসা দিতে আরও সুযোগ তৈরি হয়েছে। এছাড়া জেনারেল হাসপাতালে দ্রুত সময়ে চালু হবে ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ বেড। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চালু হচ্ছে করোনা সনাক্তকরণ পরীক্ষা।
যদিও চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত দুটি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা আছে। এরমধ্যে শহরের আন্দরকিল্লার জেনারেল হাসপাতাল। অন্যটি সীতাকুন্ডের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)।
হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, নাভানা গ্রুপ, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় এ হাসপাতাল চালু হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল উদ্বোধনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। সকাল থেকে বেশ কয়েকজন রোগী এসেছে। তবে তারা বিভিন্ন রোগের উপসর্গ নিয়ে এসেছে। যেহেতু এটি শুধুমাত্র করোনা রোগের চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রস্তুত করা। তাই তাদের কাউন্সিলিং করে পাঠিয়ে দিয়েছি।
###