নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট ও বন্দরের নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব পেশ করেছে যা সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট কাজগুলো সম্পন্ন করবে।
গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
শাজাহান খান আগামী ১ ডিসেম্বর লন্ডনে অনুষ্ঠেয় আইএমও’র ‘বি’ ক্যাটাগরির কাউন্সিল সদস্য নির্বাচনে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন। মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের প্রশংসা করে বলেন, রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
এছাড়া তাদের আলোচনায় মার্কিন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এপিআর এনার্জি ও এলিকট ড্রেজেসের বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয় স্থান পায়। এপিআর এনার্জি ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও কন্টেইনার পোর্টের কাছে ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ভ্রাম্যমান বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে। প্রায় ২৪ একর জমির ওপর পাঁচ বছরমেয়াদি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য এপিআর এনার্জি আবেদন করেছে। এলিকট ড্রেজেস বাংলাদেশে একটি যৌথ কোম্পানির সঙ্গে ১০টি ড্রেজার নির্মাণের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে।
উল্লেখ্য, মার্কিন কোস্টগার্ড পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বন্দরের নিরাপত্তার বিষয়ে কাজ করে থাকে। তারা আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থার (আইএমও) তত্ত্বাবধানে কাজ করে থাকে। ২০১৫ সালে এবং এ বছরের সেপ্টেম্বরে মার্কিন কোস্টগার্ডের একটি দল চট্টগ্রাম বন্দর সফর করে নিরাপত্তার দিকটির উন্নতির বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব দেয়। সে অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুস সামাদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।