নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল আনুষ্ঠানিকভাবে ২৫টি আইসোলেশন বেড এবং ২৫টি কভিড-১৯ চিকিৎসা বেড নিয়ে রোগীর চিকিৎসার কার্যক্রম শুরু করল চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল। গতকাল সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন করেন।
এ কার্যক্রমের জন্য আলাদাভাবে ১৩ জন ডাক্তার, ৩৬ নার্সসহ মোট ১৫৯ জন চিকিৎসা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর চিকিৎসায় নিরবচ্ছিন্ন হাই-ফ্লো অক্সিজেন সাপ্লাই, ফ্লোমিটার, ৬টি হাই-ফ্লো নজল ক্যানোলা, অক্সিজেন কনসেনট্রেট ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়েছে।
দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের কর্মীদের করোনা চিকিৎসার জন্য ৫০ শয্যার বিশেষায়িত ইউনিট ও নতুন হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের লাইফ লাইন। চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। আর সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কভিড-১৯ চিকিৎসায়ও চট্টগ্রামবাসীর পাশে থাকবে বন্দর।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আওতায় মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, বে-টার্মিনাল, পিসিটিসহ অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাই বন্দরের জন্য শুধু উদ্ধারকারী জাহাজ নয়, হেলিকপ্টার কেনারও পরিকল্পনা রয়েছে। এ সময়ে তিনি আরও বলেন, বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিবেদন জমা দেবে। এ ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, বন্দরে কয়েক হাজার লোকের আনাগোনা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্দরের লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। এক মুহূর্তও বন্ধ ছিল না অপারেশন কাজ। স্টেকহোল্ডাররা সহযোগিতা করেছেন। কিছু সহকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি, এক চুলও পিছপা হবো না লক্ষ্য থেকে।’
এ সময় বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম বলেন, বন্দরের এ হাসপাতালে বন্দরের ৭ হাজার কর্মচারী, বন্দর কর্মচারীর পরিবারের সদস্য, কর্মচারীর নির্ভরশীল পিতামাতা, অপ্রাপ্তবয়স্ক ভাইবোনসহ? প্রায় ৫০ হাজার ব্যক্তির চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিদিন এক হাজারের অধিক চট্টগ্রাম বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আউটডোর চিকিৎসা সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মচারীসহ বন্দর পরিবারের ১৬৬ জন সদস্য করোনা? পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে বা আইসোলেশনে রয়েছেন।