নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: পর্যটন (কার্নেট দ্য প্যাসেজ) সুবিধায় এনে খালাস না নেয়া ৭৯টি বিলাসবহুল গাড়ি আবারও নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। নিলামে অংশ নিতে আগ্রহীরা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৯টা পর্যন্ত কাস্টম হাউস চট্টগ্রাম এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রদর্শিত ই-অকশন লিংকে প্রবেশ করে দরপত্র দাখিল করতে পারবেন। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম, মোংলা ও সিলেটের নির্ধারিত জায়গায় রাখা টেন্ডারবক্সে দরপত্র জমা দেয়া যাবে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, নিলামে তোলা গাড়িগুলোর মধ্যে জাপান, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তৈরি বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, মিতসুবিশি, টয়োটা ও লেক্সাস জিপ রয়েছে। কার্নেট সুবিধার অপব্যবহার করে আনা গাড়িগুলো প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে পড়ে।
সূত্র আরও জানায়, আমদানিকৃত পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি নিলামে বিক্রির আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আগের নিলামগুলোয় সিপি পাওয়া না যাওয়ায় গাড়িগুলো বিক্রি করতে পারেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিপি পাওয়ার পর গত মে মাসে পর্যটন সুবিধার ১০৮টি গাড়ি নিলামে তোলে কাস্টমস বিভাগ। এর মধ্যে সন্তোষজনক দর পাওয়া ৩৪টি গাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রথম দফায় ওই নিলামে ৩৪টি গাড়ির মধ্যে ২৯টি খালাস নিলেও পাঁচটি খালাস নেয়া হয়নি, যে কারণে ওই ১০৮টির মধ্যে ৭৯টি আবারও নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কাস্টমসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি পর্যটকরা বিশেষ সুবিধায় গাড়িগুলো এনেছিলেন। বন্দরে আসার পর এসব গাড়ি তারা খালাস নেননি। তাই বিধি ও আইন অনুযায়ী নিলামের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। আমদানি নীতি অনুযায়ী বয়স বেশি হওয়ায় এসব গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ। এরই মধ্যে নানা জটিলতা কাটিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গাড়িগুলোকে নিলামের ছাড়পত্র দিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম দফায় ১০৮টি গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছিল। এর মধ্যে এখনও ৭৯টি গাড়ি রয়েছে গেছে, যেগুলোর জন্য আবারও নিলামের আয়োজন করা হয়েছে। যৌক্তিক দর পেলে নামিদামি ব্র্যান্ডের এসব গাড়ি বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।