নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে থাইল্যান্ডের রেনং সমুদ্রবন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোরের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি এ আহ্বান জানান।
এ সময় ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৩৭ দশমিক শূন্য ছয় মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ যথাক্রমে ৮০১ দশমিক তিন ও ৩৫ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ডলার। তবে ২০২১ সালে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩৯ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা আমাদের রপ্তানি খাতের ইতিবাচক অবস্থান তুলে ধরে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ বিবেচনায় থাইল্যান্ড ১৫তম অবস্থানে রয়েছে। তবে অবকাঠামো, অটোমোটিভ ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পর্যটন এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রভৃতি খাতে থাই উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরও বেশি হারে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। পাশাপাশি থাইল্যান্ডের শ্রমঘন শিল্পগুলো বাংলাদেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের পিটিএ এবং এফটিএ স্বাক্ষরের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার বিদ্যমান বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে দুপক্ষকেই আরও উদ্যোগী হতে হবে এবং আশা প্রকাশ করেন, ভারত-থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের ত্রিপক্ষীয় আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারিত হবে। তিনি জানান, আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে থাই দূতাবাস ‘রোড শো’ এবং বাণিজ্যমেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে।