শেয়ার বিজ ডেস্ক: ২০১৭ সালের শেষ প্রান্তিকে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল রেকর্ড আয় করেছে। জাপান ও ইউরোপে চাহিদা বৃদ্ধি আয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। আয় বাড়লেও গত প্রান্তিকে আইফোন বিক্রি কমেছে। খবর বিবিসি।
প্রতিবেদনমতে, অক্টোবর-ডিসেম্বরে অ্যাপলের আয় হয়েছে ৫২ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ আয় ১২ শতাংশ বেশি। এতে গত প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় ২০১৬ সালের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেড়ে দুই ডলার সাত সেন্টে পৌঁছেছে। এছাড়া গত প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার। এটিও চতুর্থ প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বেশি মুনাফা। অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক বলেন, ২০১৭ শেষটা ভালো ছিল। আমরা এ জন্য আনন্দিত।
এদিকে আয় বাড়লেও গত প্রান্তিকে অ্যাপলের আইফোন বিক্রি ছিল প্রত্যাশার তুলনায় কম। ওই সময়ে মোট ৭৭ দশমিক তিন মিলিয়ন আইফোন বিক্রি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি এক শতাংশ কম। চলতি বছরের প্রথম মাসে বিক্রি আরও কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বাজারে আইফোন ১০-এর তেমন চাহিদা না থাকায় বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
চাহিদা কম থাকায় আইফোনের বিশেষ সংস্করণ আইফোন ১০-এর উৎপাদন কমিয়ে অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের জন্য চার কোটি ইউনিট তৈরির লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা কমিয়ে দুই কোটি ইউনিটে নামিয়ে আনবে অ্যাপল। ইতোমধ্যেই ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে জানিয়েছে অ্যাপল।
অ্যাপল জানিয়েছে, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বাজারে সেভাবে চাহিদা তৈরি করতে পারেনি আইফোন ১০। বছরের শেষে হলিডের সময়েও ডিভাইসটির চাহিদা ছিল একেবারেই কম। অন্যান্য মডেলের আইফোনের তুলনায় বেশ কমই বিক্রি হয়েছে বিশেষ এ সংস্করণটি।
ফোনটিতে ফেসিয়াল রিকগনিশন ও ওয়ারলেস চার্জিং প্রযুক্তি যুক্ত করা হলেও আইফোনের আগের মডেলগুলোর মতো ক্রেতারা সেভাবে ডিভাইসটিতে আগ্রহী হচ্ছে না। নতুন প্রযুক্তি দিয়েও আইফোনের প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে ক্রেতাদের মাঝে সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি স্মার্টফোনটি।
ফোনটির মূল্য বেশি হওয়াও এর অন্যতম একটি কারণ। তবে অ্যাপল বলছে, স্যামসাংয়ের তৈরি ওএলইডি ডিসপ্লের দাম বেশি থাকায় ফোনের দাম বাড়াতে হয়েছে। বর্তমানে ওএলইডি ডিসপ্লের সবচেয়ে বড় এবং নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারীই হলো দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং।
