প্রতিনিধি, চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও ‘ভুয়া’ পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রায় দুই বছর ধরে অধ্যয়ন করা এক শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়েছে। মো রাব্বি মিয়া নামে ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ইতিহাস বিভাগের ৫৭তম ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস করতেন এবং নিয়মিত বিভিন্ন ক্লাস পরীক্ষাতেও অংশ নিতেন। তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের সক্রিয় কর্মী।
গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস পরীক্ষা দেয়ার সময় ধরা পড়েন ওই শিক্ষার্থী এবং অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থী শহীদ আব্দুর রহমান হলে ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২ কোর্সের পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিতে বললে অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থী তার নাম ও আইডি নম্বর বলতে পারেননি। পরে অফিস কক্ষে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এ তথ্য উঠে আসে।
ইতিহাস বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের (৫৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাব্বি দুই বছর ধরে তাদের সঙ্গে ক্লাস করতেন। একসঙ্গে চলাফেরা ও ব্যাচ ট্যুরেও গিয়েছেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুর রব হলের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রাব্বির মিয়াকে একাধিকবার ফোন করেও ফোনে পাওয়া যায়নি এবং ঘটনার পর থেকে তার ফেসবুক আইডিও নিষ্ক্রিয় রেখেছেন। এ বিষয়ে জানার জন্য ইতিহাস বিভাগের সভাপতি শামীমা হায়দারকে একাধিকবার ফোন করেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, ভুয়া পরিচয়ধারী ওই তরুণ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সিএফসির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন, থাকতেন শহীদ আবদুর রব হলে। গত ২১ মে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চবিতে যে সংঘর্ষ হয়, এতেও ছিল তার সম্পৃক্ততা।
বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রিফাত বলেন, আমাদের কাছে ওই ছাত্রের বিষয়ে আরও একাধিক অভিযোগ আছে। কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মারামারির ঘটনার তদন্তে তার সম্বন্ধে তথ্য উঠে আসে। আমরা কিছুতেই তার পরিচয় মেলাতে পারছিলাম না। পরে জানতে পারলাম, সে যে বিভাগের পরিচয় দেয়, ওই বিভাগের ছাত্রই নয়। বিষয়টা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করছে। আশা করি দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।