প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় :‘প্রশাসন জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলে, আবার কী করে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করে?’ এমন বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরাসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. গোলাম কবীর।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে চবি শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে তৃতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এই প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার পর প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজকে বিভিন্নভবে হেনস্তা করছে। প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ এটা আর মেনে নেবে না। শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য প্রশাসন ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ নামে কনসার্ট আয়োজন করে। নিজেরা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলে, আবার কী করে রাষ্ট্রের সম্পদ অপচয় করে? তারা এই উৎসব করতে এত আগ্রহী কেন?
অবস্থান কর্মসূচিতে আইন সাবেক ডিন প্রফেসর আবু নোমান বলেন, আপনি আমাদের নামে ভুয়া নিউজ করাচ্ছেন। মনে রাখবেন, আপনার যত অপকর্ম আছে, তার জন্য এক হাজার নিউজ হবে। আপনার নিয়োগ বাণিজ্য অপকর্ম আজ আয়ত্তের বাইরে চলে গেছে। আপনি মুখে বলেন এক আর কথা এবং কাজে তার ভিন্ন জিনিস প্রকাশ করেন। আপনার শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে ক্লাস বাদ দিয়ে খেয়েদেয়ে আর কাজ নেই, যার কারণে এখনে আন্দোলন করব! আমরা প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ৩০০ ভোটেরও বেশি ভোট পেয়ে সদস্যপদ লাভ করি, যা থেকে বোঝা যায় আমাদের ওপর আস্থা আছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববদ্যালয়ের পরিচালনার জন্য বঙ্গবন্ধু ’৭৩-এর অ্যাক্ট দিয়েছিলেন। আর যে ’৭৩-এর অ্যাক্ট মানবে না, সে এখানে প্রশাসনের দায়িত্বে বসার অধিকার রাখে না।
চবি শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি মো. আলাউদ্দিন বলেন, নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি আমরা। ‘কেমন আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়?’ নামে আগামী সোমবার একটি গণসংযোগ প্রদর্শনীর আয়োজন করব। আগামী সোমবার থেকে আবার আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।