চবি, প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহবুবুল মতিনের শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চবি সংসদ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও যৌন নিপীড়কের কুশপুত্তলিকা দাহ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,চবি সংসদ।উক্ত সমাবেশে সংহতি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ,চবি শাখা। সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।মিছিলটি ক্যাম্পাসের জয় বাংলা চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও ব্যাবসায় প্রশাসন অনুষদ প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাপ্ত হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,চবি সংসদের সভাপতি প্রত্যয় নাফাকের সভাপতিত্বে সমাবেশে সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,চবি সংসদের দপ্তর সম্পাদক ইফাজ উদ্দিন আহমদ ইমু এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়নের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা।
স্বাগত বক্তব্যে সোহেল রানা বলেন, আমাদের বোনের উপর ঘটে যাওয়া এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে নারীর নিরাপত্তা বিষয়ে জিরো টলারেন্স গ্রহণ করতে হবে।
পিসিপি,চবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অন্তর চাকমা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি শিক্ষকের কাছেই যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে আর কোথায় নিরাপদ থাকবে। অভিযুক্ত শিক্ষককে শুধুমাত্র শ্রেণী কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দিয়ে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা যাবেনা।নিপীড়ককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের ব্যাবস্থা করতে হবে।বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুক্ত ডিব্রা বলেন, যাদের কাছ থেকে আমরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে এসেছি তাদের কাছ থেকে যদি এরকম ঘটনার শিকার হতে হয় তাহলে ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক।
সমাবেশের সমাপনী বক্তব্যে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি প্রত্যয় নাফাক বলেন, আমরা এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি যেখানে প্রতি মূহুর্তে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি।প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললে আমরা দেখতে পাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য,দুর্নীতি এবং অনিয়মের নানা অভিযোগ।এমনকি আমাদের শিক্ষকরাও নারী নিপীড়নের মতো ঘটনার সাথে জড়িত হচ্ছে।প্রশাসনের ক্যাম্পাসে একটি ভাঙাচোরা গাড়ি নিয়ে ঘোরা ছাড়া আর কেন কাজ নেই যেখানে তারা নারীদের নিরাপত্তা প্রদানে বারবার ব্যার্থ হচ্ছে।
উল্লেখ্য,গত ৩১শে জানুয়ারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একজন শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন একই বিভাগের একজন নারী শিক্ষার্থী। তার স্থানী বহিষ্কারের দাবিতে ঐ বিভাগের শিক্ষার্থী,বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন অঙ্গ সংঘটন লাগাতা আন্দোলন করে আসছে।