চবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষকের কর্মবিরতি

চবি,প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ। শিক্ষক সমিতির ডাকা সর্বাত্মক ৪ দিনব্যাপী কর্মবিরতির প্রথম দিনে ক্লাস নেয়নি ৯০ শতাংশ শিক্ষক। তবে, কর্মবিরতি প্রত্যাহারে সাধারণ শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহবায়ক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ মামুন।

শিক্ষক সমিতির ভাষ্যমতে, অধিকাংশ বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে কর্মবিরতি চলাকালীন সময়ে কোন ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষক কর্মবিরতি পালন করেছেন। তারা এ সময়ের মধ্যে কোন ক্লাস নেন নি। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এতে আরও বলা হয় প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত এবং প্রশাসন থেকে নানান ধরনের সুবিধাভোগী ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শিক্ষক ক্লাস নিয়েছেন।

এর আগে গতকাল রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৪ দিনের কর্মবিরতি কর্মসূচির বিষয়টি জানান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক। আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে আন্দোলন, যা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান:

কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে সাধারণ শিক্ষকদের ক্লাসের ফেরার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন আহ্বান জানান প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহবায়ক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ মামুন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতির একাংশের সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষকদের কর্মবিরতি সম্পর্কিত যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে চবি শিক্ষকদের একাংশ।

বিবৃতিতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক স্বার্থে শিক্ষক সমিতির একাংশের একপেশে, অযৌক্তিক ও হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণ করা এবং অন্যান্য পেশাগত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে শিক্ষার্থীদের প্রতি নিজেদের নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান।

উল্লেখ্য, বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির ‘না’ করা সত্ত্বেও চবিতে বাংলা বিভাগে ৭ জন ও আইন বিভাগে ২ জন শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে গত ১৭ ডিসেম্বর অবস্থান কর্মসূচি পালন করে চবি শিক্ষক সমিতি। পরে কয়েকজন প্রার্থীকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে গিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে অভিযোগ করে অনশন কর্মসূচি ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক সমিতি। উপাচার্যের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ‘বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩’ লঙ্ঘন করা এবং অব্যাহতভাবে চলমান ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে এবার তারই ধারাবাহিকতায় সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করলো শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০