চবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ঠিকাদারকে মারধর অভিযোগ

চবি প্রতিনিধি:  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের একটি নামফলক তৈরির কাজে ঠিকাদারকে মারধর ও ২ লাখ টাকার নামফলকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের চার নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ৪ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই ঠিকাদার। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাফায়েত হোসেন, উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মাশরুর কামাল অনিক ও সহ সম্পাদক মোহাম্মদ হৃদয়।

জানা গেছে, নামফলকের ওই কাজটি ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার টাকার। সেখানে কাজের থেকেও প্রায় ৯০ হাজার টাকা বেশি চাঁদা দাবি করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কর্মীরা।

গত ৩১শে জানুয়ারী বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ঠিকাদার তামজিদ উদ্দিন শুক্রবার হাটহাজারী থানায় মামলা করেন। এই মামলার বিষয়টি হাটহাজারী থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে একটি নামফলক নির্মাণ করার জন্য ডিন অফিস থেকে দায়িত্ব পায় মেসার্স আরএস এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা সেখানে কাজ করতে গেলে বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগের একাধিক নেতা। চাঁদা না দেয়ায় মারধর করা হয় তাদের। তার পিতা মো. সেকান্দর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরএস এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী হন।

তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তামজিদ ওই নামফলকের নির্মাণকাজ পরিচালনা করছেন। ঘটনার ৩ দিন আগে একটি ফোন নম্বর থেকে তামজিদের বাবাকে আসামিরা ফোন করেন। ওই নির্মাণকাজ পরিচালনা করতে হলে অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতাদের চাঁদা দিতে বলে তামজিদের বাবাকে হুমকি দেয়া হয়। ভুক্তভোগী ঠিকাদার তামজিদ উদ্দিন বলেন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের একটি নামফলকের কাজ আমার বাবাকে দেওয়া হয়।

তিনি হার্ট অ্যাটাক করায় বাবার কাজটি সম্পন্ন করার জন্য আসি। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে আমার বাবাকে ফোন দিয়ে চাঁদা দাবি করে হুমকি-ধমকি দেন। পরবর্তীতে আমি প্রক্টর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেই। আমি মনে করি তারা ছাত্রলীগের নাম নিয়ে এমন অপকর্ম করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শাফায়েত বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা করা হয়েছে। এছাড়া বাকি অভিযুক্তদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ-উদ-দৌলাহ বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। কয়েকজন ছাত্র নামফলকের কাজে বাঁধা দেয় এবং চাঁদা দাবি করে। আমি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানিয়েছি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম শিকদার বলেন, একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০