চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় উভয়পক্ষকেই দেশীয় অস্ত্রসহ মহড়া দিতে দেখা যায়। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে লিপ্ত গ্রুপ দুটির নাম ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) এবং চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারস (সিএফসি)।
সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে সন্ধ্যা থেকে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলমান ছিল। ভিএক্স হলো নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং সিএফসি হলো শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, কথা-কাটাকাটির জের ধরে ভিএক্সের একজনকে মারধর করে সিএফসির কর্মীরা। এরপর ভিএক্সের সবাই সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে জড়ো হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। সিএফসির কর্মীরা আমানত হল মোড়ে অবস্থান নেয়। উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় থেকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে জুনিয়রদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমাদের নেতাকর্মীরা হলে অবস্থান করছে। একসঙ্গে থাকতে গেলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। তবে আমরা মারামারি চাই না। সবাই একত্রে রাজনীতি করবে।
সিএফসি গ্রুপের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মির্জা খবির সাদাফ বলেন, সামান্য ব্যাপার নিয়ে কিছুক্ষণ ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। খবর শুনেই অন্য গ্রুপের সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে তা থামিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে চবি ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। মারামারি-হানাহানি হোক তা চাই না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন বলেন ‘সামান্য বিষয় নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে আমরা পুলিশকে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করি। বর্তমানে উভয় গ্রুপ নিজ নিজ হলে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তদন্ত-সাপেক্ষে মারামারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’