চমেকের প্রকল্প কুমিল্লায় স্থানান্তরের উদ্যোগে ক্যাবের ক্ষোভ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: দেশের আটটি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘নিউরোসায়েন্স, অর্থোপেডিক, মানসিক ও স্কিন ইউনিট স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নতুন করে চারটি ইউনিট (নিউরোসায়েন্স, অর্থোপেডিক, মানসিক ও স্কিন) স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মাঝে এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনও ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়নি। এরই মধ্যে চট্টগ্রামে জায়গা সংকটের কথা বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম তার নিজের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় প্রস্তাব করার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এ প্রস্তাব বাতিল করে চট্টগ্রামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি।

গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু ও সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শঙ্কু, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শুধু চট্টগ্রাম জেলার জন্য উচ্চতর চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নয়। রেফারেল হাসপাতাল হিসেবে এটি এ অঞ্চলের বিশেষ করে কক্সবাজার, তিন পার্বত্য জেলা, নেয়াখালী ও ফেনী জেলার সাধারণ মানুষের জন্য সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। তাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উন্নয়ন মানে চট্টগ্রামের উন্নয়ন নয়। চট্টগ্রামবিদ্বেষী কিছু মানুষের রোষানলে পড়ে সরকারের অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চট্টগ্রামে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। তাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জায়গা সংকটের কথা বলে অন্যত্র এবং নিজের গ্রামের বাড়িতে এই প্রকল্প স্থানান্তরের হীন প্রচেষ্টা থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি এতদঞ্চলের চিকিৎসা ব্যবস্থায় একমাত্র ভরসাস্থল হওয়ার কারণে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার রোগী ভর্তি থাকেন। হাসপাতালে

শয্যাসংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় রোগীরা বারান্দায় ও মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। চট্টগ্রামের জরাজীর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বারংবার প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। তাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজকে ঘিরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের কয়েক কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজসহ অনেক শিক্ষর্থীও প্রকল্প থেকে উপকৃত হতে পারবেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০