কামরুন নাহার ঊষা: বাংলাদেশে বিদ্যুৎশক্তির ব্যবহার বেড়ে গেলেও এ খাতে অনেক ত্রুটি রয়েছে। যেমন বিদ্যুতের ঘাটতি। সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। তবে বিদ্যুতের এ ঘাটতি দূরীকরণের বিকল্প হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ দেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখছে। শহরগুলোয় সৌরবিদ্যুতের প্রভাব না থাকলেও গ্রামা ল কিংবা চরা লগুলোয় সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন সহজ, তেমনি এর খরচও তুলনামূলক কম। আনন্দের বিষয়, সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় দেশীয় ব্যাংকগুলো বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। এতে করে সৌরশক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া আর সহজ হচ্ছে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সাধারণত প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার মাধ্যমে উৎপাদিত হয়। এই প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার ঘাটতি বা কোনো ধরনের ত্রুটি দেখা দিলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সৌরবিদ্যুতের ক্ষেত্রে এসব সমস্যার বালাই নেই। তাই সৌরবিদ্যুৎ থেকে বেশি করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রম পালন করছে। আমাদের দেশের বিদ্যুৎ খাতের অবস্থা তেমন সুখকর নয়, সেহেতু সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে।
সৌরবিদ্যুতের মূল উৎস হচ্ছে সূর্য। তাই ঘরের ছাদে বা টিনের চালে চাহিদা অনুসারে সোলার প্যানেল লাগানো হয়, যাতে সরাসরি সূর্যের আলো এসে পড়ে। পাওয়ার ব্যাক-আপের জন্য সোলার প্যানেলের সঙ্গে ব্যাটারি লাগানো থাকে। এ ব্যাটারির সঙ্গে একটি চার্জ কন্ট্রোলার লাগানো হয়। কেননা, ব্যাটারি যদি ওভার চার্জ না হয়, তবে সেটা ভালোভাবে ব্যাক-আপ দিতে পারবে না।
সৌরশক্তি এখন বিদ্যুৎশক্তির চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে। শহরে ব্যবহৃত না হলেও গ্রামগঞ্জে এটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেক গ্রামের ইলেকট্রিক কাজ সারা হয় সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে। রোদ যত ওঠে, ততই লাভ। খরা হলে কৃষকের চিন্তা নেই, সোলার সিস্টেমে পানি দিয়ে আবাদ করা যাবে।
সৌরবিদ্যুৎ ঘরের বাতি, ফ্যান কিংবা মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়া ছাড়াও সেচপাম্পের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ প্রকল্প সফল হয়েছে এবং আগামীতে বাংলাদেশের সব সেচপাম্প চলবে এই সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে। মূলত বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ফসলের জন্য বৈদ্যুতিক পাম্প ব্যবহার করছে কৃষক। সেক্ষেত্রে অনেক বিদ্যুৎ খরচ হয়। ফলে সেসব এলাকায় বিদ্যুতের ঘাটতিও দেখা দেয়। কেননা, বিদ্যুতের একটি বড় অংশ ধানক্ষেতে সেচের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, তাই বিদ্যুতের সংকট দেখা দেবে এটাই স্বাভাবিক। এমনকি বৈদ্যুতিক বিলও হতে পারে তুলনামূলক বেশি, যা পরিশোধ করতে কৃষক হিমশিম খেত। কিন্তু এই পাম্পগুলো যদি সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে চলে, তাহলে যেমন অপচয় কম হবে, তেমনি বিদ্যুৎসাশ্রয় হবে; একই সঙ্গে পরিবেশও দূষণ থেকে রক্ষা পাবে। তাছাড়া বৈদ্যুতিক পাম্পের ব্যবহারে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ততটা ছিল না। কারণ বৈদ্যুতিক সেচে অনেক খরচ বলে সীমিত উৎপাদন হতো। তবে সৌরবিদ্যুতের সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। কৃষক এখন কৃষি উৎপাদন নিয়ে বিভিন্ন স্বপ্নও দেখছে। এই আধুনিক কৃষি পদ্ধতি চালু করে দেশে সবুজ কৃষির বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। কোনো খরচ ছাড়াই সোলার সিস্টেম একবার স্থাপন করা গেলে টানা প্রায় ২০ বছর সার্ভিস দিতে পারে। সেচের বিষয়ে আর কোনো চিন্তা করতে হবে না। ফলে দেশের খাদ্য ঘাটতি, বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণে প্রকল্পটি কৃষিক্ষেত্রে যথেষ্ট কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।
সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে আর্থিক সাশ্রয়ও হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষা হচ্ছে। একই সঙ্গে নারীর কর্মসংস্থানও গড়ে তোলা যাচ্ছে। সৌরবিদ্যুতে ব্যবহৃত সোলার প্যানেলে চার্জ কন্ট্রোলার লাগে, যা সাধারণত তৈরি করে নারীরা। পাশাপাশি সোলার প্যানেল চালানোর জন্য নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা নিজেদের বাড়ির সৌর প্যানেল ঠিক করতে পারে। সে সঙ্গে আশেপাশের বাড়ির প্যানেলও সংস্কার করে অর্থ উপার্জন করছে। জানা গেছে, গ্রামগঞ্জের বাড়িগুলোয় সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংকট কাটাতে সব সরকারি কার্যালয়ে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০০৩ সালে সৌরবিদু্যুৎ নিয়ে কাজ শুরু হয়। এ কাজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন, গ্রামীণ শক্তি, বিভিন্ন ব্যাংক, ইডকল প্রভৃতি সহযোগিতা করেছে। প্রথমদিকে এসব উদ্যোগ বেসরকারিভাবে নেওয়া হলেও বর্তমানে সরকার এ বিষয়ে বেশ মনোযোগী। একটি সোলার হোম সিস্টেম সংযোগ দেওয়ার পর নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যেতে পারে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এর কোনো বিল পরিশোধ করতে হয় না। পাঁচ-ছয় বছরে এর ব্যাটারি নষ্ট হওয়ারও কোনো সম্ভাবনা থাকে না। সোলার হোম সিস্টেম বিভিন্ন ওয়াটের হয়ে থাকে, তাই সব পরিবার তাদের চাহিদা অনুযায়ী পছন্দমতো প্রয়োজনীয় সিস্টেমটি বেছে নিতে পারবে। পাঁচজনের একটি পরিবারে ৪০ থেকে ৫০ ওয়াটের সোলার হোম সিস্টেমই যথেষ্ট। এছাড়া ৮৫ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্যানেল দিয়ে চারটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি সাদা-কালো টিভি চালানো সম্ভব।
চরা লগুলোয় বিদ্যুৎসেবা না পৌঁছার কারণে তারা বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করেই পুরো চর আলোকিত করেছে। দুর্গম অ লের মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেকটাই উন্নত হয়েছে। এক সময় হারিকেনের সামান্য আলোয় তাদের কাজ করতে হতো। হারিকেনের তেল ফুরিয়ে গেলে অন্ধকারেই কাটত সময়। সেদিন গত হয়েছে; সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে অন্ধকার কাটিয়ে তারা আলোর মুখ দেখছে। এসব স্থানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস, হাসপাতাল, দোকানপাট সবই সৌরবিদ্যুতে চলে। জেলেদের ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলোয়ও সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে আলো জ্বলে। তারা এখন টেলিভিশনও দেখার সুযোগ পাচ্ছে। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করায় কোনো জ্বালানি কিনতে হয় না। রাতে বাড়িতে অন্ধকারের ব্যাপারে কোনো দুশ্চিন্তা করতে হয় না। সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছেলেমেয়েরা সৌরবিদ্যুতের আলোয় পড়তে বসে। বিদ্যুৎ বিষয়ে কোনো চিন্তাই থাকে না। বিদ্যুতের আলোয় সব কাজই করা যাচ্ছে কিন্তু বিল দেওয়ার কোনো ঝামেলা নেই। এমনকি কোনো কোনো ঘরে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সোলার প্যানেল দিয়ে চলে রান্নার কাজও। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে সরকারি বিদ্যুতের এখন আর প্রয়োজন পড়ে না।
একদল গবেষক জানিয়েছেন, সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে গাড়িও চালানো সম্ভব। অর্থাৎ সব ধরনের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে বিকল্প হিসেবে কাজ করবে সৌরশক্তি। ধারণা করা হচ্ছে, ছোট সৌর প্যানেলের মাধ্যমে গাড়ি চার্জ দেওয়া সম্ভব। রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে গাড়ি চালানোর সময় এ প্যানেলের মাধ্যমে চার্জ গ্রহণ করবে। এ পদ্ধতিতে সৌরবিদ্যুৎকে প্রায় ১২ শতাংশ পর্যন্ত ইলেকট্রিক চার্জে রূপান্তর করা যায়। বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলছে।
দারিদ্র্য বিমোচনে অন্যতম উপকরণ হলো সৌরবিদ্যুৎ। সৌরবিদ্যুৎ মূলত দূরবর্তী এলাকার জন্য উপযুক্ত। যেমন চরা ল। সৌরবিদ্যুতের প্রকল্প পাল্টে দিয়েছে চরের সুবিধাবি ত মানুষদের জীবনাচার। সব ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল এসব স্থানের মানুষ। আর্থসামাজিকভাবে পিছিয়ে ছিল গ্রাম ও চরা লের মানুষ। তবে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহারে এখন কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে চরের মানুষগুলো। এ প্রকল্পের আগে এসব মানুষ সন্ধ্যা হলেই দোকান বন্ধ করতে বাধ্য হতো। অন্ধকার নামার আগে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়তে হতো। এখন বিদ্যুতের আলোয় অনেক রাত পর্যন্ত ব্যবসা করতে পারছে তারা। তারা গরমের সময় ফ্যানের ঠাণ্ডা বাতাসের ছোঁয়া শরীরে লাগাতে পারছে। এসব মিলিয়ে তাদের জীবনযাত্রার মানে অনেক পরিবর্তন এসেছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি গ্রামের দুর্গম এলাকাগুলোয় লাগানো হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ চালিত সড়কবাতি। সোলার সিস্টেমের সড়কবাতিগুলো গ্রামের রাস্তা, বাজারের মোড় ও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লাগানো হয়েছে। রাতের বেলায় শুধু ঘরগুলোই যে আলোকিত হচ্ছে তা নয়, একই সঙ্গে পুরো এলাকায় আলোয় ভরে উঠছে। এ কারণে সেখানে চুরি-ছিনতাই আগের তুলনায় কমে গেছে। দুর্গম এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাতের বেলায় বিদ্যুৎ নিয়ে আর কোনো চিন্তা নেই। আগে রাতের পথঘাটে আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করতে হতো, এখন আর সে ভয় নেই। রাতে এখন নারীরাও নির্দ্বিধায় চলাফেরা করতে পারছে।
সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান উপকরণ হচ্ছে তেল, গ্যাস, কয়লা যা দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে আগামীতে বিদ্যুৎ কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই বিকল্প পথ খোঁজার উপায় চলছে। এর বিকল্প উপায় হিসেবে সৌরবিদ্যুৎই এখন বিশ্বে সেরা স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এর গুরুত্ব কতটা, সে বিষয়ে কিছু আলোচনা করা যাক।
বিজ্ঞানীরা উপলব্ধি করে দেখেছেন যে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ বছর তেল পাওয়া যাবে। এদিকে ২১০০ সাল আসতে আসতে কয়লাও হয়তো আর পাওয়া যাবে না। এই সীমিত শক্তি বা সম্পদগুলো প্রায় শেষের দিকে। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, সূর্য প্রতিদিন অফুরন্ত শক্তি বিলিয়ে যাচ্ছে। এখানেই বিজ্ঞানীরা আশার আলো দেখছেন। তারা পরীক্ষা করে দেখেছেন, কেবল সূর্যই একমাত্র শক্তির উৎস, যা বর্তমান ও ভবিষ্যতের উজ্জ্বলধারা। বর্তমান বিশ্বের অন্যসব উৎসের প্রায় সমান পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব সূর্য থেকেই।
দেখা যায়, বিশ্বের সব মরুভূমিতে যে পরিমাণ সৌরবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, তা দিয়ে পুরো এক বছর বিশ্বের সব মানুষকে বিদ্যুৎসেবা দেওয়া যাবে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মরুভূমিতে সারা বছর যে পরিমাণ সৌরশক্তি উৎপন্ন হয়, তাতে যদি সৌরবিদ্যুতের সোলার প্যানেল বসানো যায়, তাহলে পুরো পৃথিবীর বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো সম্ভব।
বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুতের সুবিধা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়াই সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সৌরবিদ্যুৎকে ‘ডিজিটাল প্রকল্প’ বলা চলে। এই ডিজিটালের ছোঁয়া শুধু দুর্গম অ লেই লেগেছে। আগে অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রাম থাকায় বিদ্যুতের আলো দেখার জন্য গ্রামের মানুষ শহরে আসত। একটা মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার জন্য অনেক পথ হেঁটে চার্জ দিতে হতো। এখন বাড়িতে বসেই ফোনে চার্জ দেওয়া যায়। এ কারণে সৌরবিদ্যুতের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। চর ও গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে সৌরবিদ্যুৎ।
সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের যাবতীয় যন্ত্রপাতি দেশে উৎপাদন করা গেলে এর দাম আরও কমে আসবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যেসব যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে, তার সবই আমদানি করা। তবে দেশীয়ভাবে তৈরি ব্যাটারি এ কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ব্যাটারির দামও বেশি হওয়ায় সৌরবিদ্যুতের দাম সেভাবে কমছে না। সরকার ২০০৯ সালে সোলার প্যানেল থেকে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফলে সোলার প্যানেলের দাম কিছুটা কমলেও সার্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এ খাতের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার সোলার যন্ত্রাংশ থেকে শুল্ক প্রত্যাহার ছাড়া এ খাতের জন্য তেমন কিছুই করেনি।
সৌরবিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশ খুবই সম্ভাবনাময়। তবে হ্যাঁ, এটা বলা যায় যে, আমাদের দেশে সৌরবিদ্যুতের অনেকটা প্রসার ঘটেছে। সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। তাই বিদ্যুৎ সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য দেশের সব বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং কয়লা ও গ্যাসক্ষেত্রের কর্তৃত্ব সরকারের হাতে রাখা উচিত। দেশের জ্বালানি সংকট মেটাতে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখনই সময়।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী