খোসা ছাড়িয়ে লবণ-মরিচ মাখিয়ে আমড়ায় কামড়! আহ! শুনেই জিভে জল চলে আসার জোগাড়। আচার বানিয়ে, চাটনি করে খাওয়া যায় আমড়া। খাওয়া যায় ভর্তার সঙ্গে, ডাল কিংবা তরকারির মধ্যে দিয়েও। মুখরোচক ফলটির স্বাদ পেতে আগ্রহী ছোট-বড় সবাই। সহজলভ্য ও সুস্বাদু আমড়ার কয়েকটি গুণ দেখে নেওয়া যাক :
আমড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের উপস্থিতিও রয়েছে প্রচুর
প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ০.১ গ্রাম স্নেহ, ১.১ গ্রাম আমিষ, আয়রন ৩.৯ গ্রাম, ১৫ গ্রাম শ্বেতসার, ক্যালসিয়াম ৫৫ মিলিগ্রাম, ৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’, ‘বি’১ ০.২৮ গ্রাম, বি২ ০.০৪ গ্রাম, অন্য খনিজ ০.৬ গ্রামসহ ৮০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন রয়েছে
র্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে কিছু
রোগ-জীবাণু বাতাসে ভেসে বেড়ায়। কিছু জীবাণু নোংরা পানিতে বাসা বাঁধে এমন রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমড়ায় থাকা ভিটামিন ‘সি’
আমাদের দৈনন্দিন আয়রন চাহিদার ১৫.৫-৩৫ শতাংশ পূরণ হয় ১০০ গ্রাম আমড়া খেলে। অ্যানোমিয়া দূর করতে আমড়া খেয়ে যান
আমড়ায় ক্যালরির পরিমাণ তুলনামূলক কম। চিনির পরিমাণও কম
ফলটি মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়
রক্তস্বল্পতা দূর করে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক পর্যায়ে রাখে
অরুচি দূর করে ক্ষুধা বাড়ায় আমড়া
তেল ও চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়ার পর আমড়া খেতে পারেন, হজমে সহায়তা করবে এর আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ও বদহজম দূর করে
ওজন সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে সালাদে রাখুন আমড়া
দেহের উত্তাপ নিয়ে ঝামেলায় আছেন? তাহলে আমড়া খেতে পারেন। দেহের অতিরিক্ত উত্তাপ দূর করে এটি
দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ উপাদান ক্যানসারসহ কিছু মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে
আমড়া রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়
আমড়া কফনাশক
কণ্ঠস্বর পরিষ্কারে আমড়ার ভূমিকা রয়েছে
ঘুমভাব তাড়ায়। শরীর সতেজ করে
ত্বকের যত্নেও উপকারী আমড়া। এর পাশাপাশি চুল ও নখ সুন্দর করে
প্রতিদিন একটি আমড়া খেতে পারেন। আমড়ার ভেতর ও বাহিরÑদুইয়েরই পুষ্টিগুণ রয়েছে। তবে বাইরের অংশ তুলনামূলক বেশি টক। এ টক সবাই হজম করতে পারেন না। তাই হজমের সমস্যা থাকলে আমড়ার খোসা না খাওয়াই ভালো।
গ্রন্থনা: রাজর্ষী রায়