চর্ব্য-চোষ্য-লেহ্য-পেয়: অমৃততুম্বী

পেঁপের আয়ুর্বেদিক নাম অমৃততুম্বী। সবজি ও ফল হিসেবে খাওয়া হয়। জনপ্রিয় এ ফলটির মিষ্টি স্বাদ, রং ও স্বাস্থ্য উপকারিতার যেন নেই কোনো শেষ। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি ঔষধি গুণেও ভরা।

১০০ গ্রাম পেঁপেতে রয়েছে ৪৩ কিলোক্যালরি। এছাড়া কার্বোহাইড্রেট ১০ দশমিক ৮২ গ্রাম, চিনি সাত দশমিক ৮২ গ্রাম, ডায়েটারি ফাইবার এক দশমিক সাত গ্রাম, ফ্যাট শূন্য দশমিক ২৬ গ্রাম, প্রোটিন শূন্য দশমিক ৪৭ গ্রাম। এতে ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’ ছয়, ভিটামিন ‘সি’ ৭৫, ভিটামিন ‘ই’ দুই ও ভিটামিন ‘কে’ দুই শতাংশ। পাশাপাশি বিটা ক্যারোটিন তিন শতাংশ, থায়ামিন দুই শতাংশ, রিবোফ্লাভিন দুই শতাংশ, নিয়াসিন দুই শতাংশ, প্যান্টোনেথিক এসিড চার শতাংশ। মিনারেলের মধ্যে রয়েছে ফসফরাস, সোডিয়াম ও জিংক রয়েছে এক শতাংশ করে; ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে দুই শতাংশ, পটাশিয়াম চার ও ম্যাগনেসিয়াম ছয় শতাংশ। এছাড়া পানি রয়েছে প্রায় ৮৮ গ্রাম।

উপকারিতা

হাঁপানি প্রতিরোধে পেঁপের রয়েছে অনন্য শক্তি। এর বিটা-ক্যারোটিন হাঁপানি প্রতিরোধে সাহায্য করে। হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ উপাদান কোলন ও প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ করে পেঁপের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনোক্সিড দেহে ক্যানসারের কোষ তৈরিতে বাধা দেয়

নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার ফলে দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়। মজবুত হয় হাড়

চিনির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেঁপে আদর্শ খাবার

পেঁপের এনজাইম খাবার হজমে সহায়তা করে। এর পানি ও দ্রবণীয় আঁশও আছে হজম সমস্যায় দারুণ উপকারী

উচ্চরক্তচাপ ঠিক রাখার পাশাপাশি রক্তের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি দেহের ক্ষতিকর সোডিয়ামের পরিমাণও কমিয়ে দেয়। ফলে হƒদরোগ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ কারণেই হƒদরোগীদের সবসময় পেঁপে খেতে বলা হয়

সেলুলার ঝিল্লির গঠন বজায় রাখতে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্রের সংক্রমণ সারাতে সাহায্য করে। চর্বিকে শোষণ করে

সারা দিনের ক্লান্তি এক নিমিষে দূর করে দিতে পারে কয়েক টুকরো পেঁপে। এতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ মানসিক চাপ কমায়

শ্বাস-প্রশ্বাস সমস্যা দূর করতে পেঁপের জুড়ি মেলা ভার। তাই শ্বাস-প্রশ্বাস সমস্যায় জর্জরিত হলে খাদ্যতালিকায় পেঁপে রাখুন

ত্বকের যত্নে পেঁপের জুড়ি মেলা ভার। এর পুষ্টিগুণ ব্রণ ও ত্বকের অনেক সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। কাঁচা পেঁপে ত্বকের মরা কোষ পুনর্জীবিত করতে সাহায্য করে। ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখে

চুলের জন্যও বেশ উপকারী। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, রয়েছে সেবুম উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি, যা চুলকে মজবুত রাখে। ত্বক ও চুলসহ সব শারীরিক টিস্যু বৃদ্ধির জন্য এটি বেশ ফলদায়ক

 

হাসানুজ্জামান পিয়াস

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০