সারা ইসলাম সুমা: টক-মিষ্টি স্বাদের ফল আম। পুষ্টিমানে ভরা ফলটি স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়। কাঁচা বা পাকা আম খেতে পছন্দ করেন না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমকে বলা হয় ফলের রাজা। এ ফলের কিছু গুণ জেনে নিতে পারেন।
কর্মশক্তি জোগায় আম। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা আম ৪৪ কিলোক্যালরি ও পাকা আম ১০ ক্যালরি শক্তি প্রদান করে।
আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন ও ক্যালরি। এ দুই উপাদান আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
আমে থাকা আয়রন, আঁশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও খনিজ উপাদান শরীর সুস্থ-সবল রাখতে সহায়তা করে।
কাঁচা আমে ৯০ মাইক্রোগ্রাম ও পাকা আমে আট হাজার ৩০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে। এর ক্যারোটিন চোখ সুস্থ রাখে,
সর্দি-কাশি দূর করে।
আম থেকে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। এটি স্কার্ভি রোগ
প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি দাঁত, মাড়ি ও ত্বকের যতেœ ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকর।
আমে রয়েছে ভিটামিন ‘বি১’ ও ভিটামিন ‘বি২’। আমাদের দেহের জন্য উপকারী এ দুই উপাদান।
বিভিন্ন খনিজ উপাদানের উৎসও আম। ১০০ গ্রাম কাঁচা ও পাকা আমে শূন্য দশমিক পাঁচ গ্রাম খনিজ লবণ রয়েছে।
আমে বিদ্যমান পটাশিয়াম রক্তস্বল্পতা দূর করে ও হƒৎযন্ত্র সচল রাখতে সহায়তা করে।
কোলন ক্যানসার, স্তন ক্যানসার ও প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে আম।
কাঁচা আম খাওয়ার ফলে শরীরে সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়।
আম ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রোদের পোড়াভাব কমাতে, ত্বকের দাগ দূর করতে ও ব্রণের সমস্যা সমাধানে আম বেশ উপকারী।
আম দিয়ে বানানো যায় নানা রকম মজাদার খাবারÑবিশেষ করে আমের লস্যি, কাস্টার্ড, পুডিং, জুস, কেক, আইসক্রিম, বরফি, হালুয়া, পোলাও, আম-মাংস ভুনা, আমের চচ্চড়ি, রকমারি আচার, আম-ডালসহ নানা ধরনের খাবার।
গণমাধ্যমকর্মী
Add Comment