চর্ব্য-চোষ্য-লেহ্য-পেয়: বাঙ্গি

বাঙ্গি এক ধরনের শসা জাতীয় ফল। বাঙ্গির অপর নাম খরমুজ, কাঁকুড়, ফুটি বা বানি। দেশের প্রায় সব এলাকায় গ্রীষ্মকালে বাঙ্গি জন্ম। তরমুজের পর এটিই অধিক প্রচলিত শসাগোত্রীয় ফল। ধারণা করা হয়, বাঙ্গির জন্ম ইরান কিংবা আফগানিস্তানে। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াও এ ফলের চাষ হয়। বাঙ্গিগাছ দেখতে অনেকটা শসা গাছের মতো, লতানো। কাঁচা ফলের রঙ সবুজাভ। কাঁচা বাঙ্গি সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। ফল পাকলে হলুদাভ হয়। পাকা ফলের সুমিষ্ট সৌরভ আছে। এটি স্বতন্ত্র স্বাদের। ফলের ওজন এক থেকে চার কেজি পর্যন্ত হতে পারে। দেশে প্রধানত দুই জাতের বাঙ্গি দেখা যায়Ñবেলে ও এঁটেল। বেলে বাঙ্গির শাঁস নরম। খোসা খুব পাতলা, শাঁস খেতে বালু বালু লাগে। তেমন মিষ্টি নয়। অন্যদিকে, এঁটেল বাঙ্গির শাঁস কচকচে, একটু শক্ত ও তুলনামূলক মিষ্টি। বাঙ্গি খাদ্যগুণে সমৃদ্ধ।
প্রতি ১০০ গ্রাম বাঙ্গিতে রয়েছে ৩৪ ক্যালোরি। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, ফলিক এসিড, নিয়াসিন, ফাইবার, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ও প্রচুর পানি রয়েছে। এতে কোলেস্টেরল ও চর্বি নেই।

বাঙ্গিতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ বাঙ্গি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। চোখের ছানি পড়া থেকে রক্ষা করে

এতে কোনো কোলেস্টেরল কিংবা চর্বি নেই বরং প্রচুর পানি ও বিশেষ ফাইবার থাকাই বাঙ্গি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং পটাশিয়াম পেটের চর্বি ঝরাতে দারুণ কাজ করে

বাঙ্গি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে ভূমিকা রাখে

বাঙ্গি রক্তের শ্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বককে প্রাণবন্ত রাখে, মুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে

আলসার প্রতিরোধে সহায়তা করে

বাঙ্গিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে

কিডনির সমস্যা ও পাথর হতে বাধা দেয় বাঙ্গি

গর্ভবতী মায়েদের শরীরকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে

ইনসোমিয়া দূর করতে সাহায্য করে। ক্যানসার প্রতিরোধে ও হƒদপিন্ডের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বাঙ্গি।

হাসানুজ্জামান পিয়াস

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০